পাতা:অবনীন্দ্র রচনাবলী দ্বিতীয় খণ্ড.djvu/২২৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

যে মাটিতে জন্মেছি সেই মাটির এক টুকরোতে মাথা রেখে মরার ব্যবস্থা করে নেওয়া । পৃথ্বীরাজ খুড়োর পাশে বসে সেই আগেকার মতো আবার হাসিমুখে শুধোলেন, ‘আমি আসবার আগে তুমি কী করছিলে খুড়ো ? ছেলেদের রাজস্থানের ইতিহাস আর গল্প শুনিয়ে খানিক বাজে সময় কাটাচ্ছিলেম' –বলে খুড়ে হাসলেন। পৃথ্বীরাজ অবাক হয়ে বললেন, ‘আমি তাড়া করে আসতে পারি জেনেও সেজন্য সতর্ক না থেকে বেশ আরামে শুয়ে গল্প করছিলে ? সুরজমল হেসে বললেন, লড়াই করা কি পালানো —এ-ফুটোই করবার পথ তুমি বন্ধ করেছ, কাজেই ছেলেদের নিয়ে খোশগল্প করে সময় কাটানো ছাড়া করবার আর কী আছে বলে ? পৃথ্বীরাজ শুনে বললেন, ‘কেন, আমার সঙ্গে বাবার কাছে গিয়ে মাথা গোজবার জায়গাটা করে নেবার চেষ্টা করো না কেন ? সুরজমল খানিক গম্ভীর হয়ে বললেন, ‘আগে হলে যেতেম কিন্তু এই বিদ্রোহের পরে মাথা-গোজবার জায়গা চিতোরের বাইরে করে নেওয়াই ঠিক ; আর তা হলেই ধড় এবং মাথা –ছটো নিয়ে কিছুদিন আরাম করা যেতে পারবে।’ পৃথ্বীরাজ খানিক ভেবে বললেন, তি যেন হল, কিন্তু মহারানাকে একটা মাথা না হাজির করে দিতে পারলে আমার যে মাথা হেঁট হবে, কাটাও যাবে —তার কী বল ? সুরজমল পৃথ্বীরাজের কানে-কানে বললেন, সারংদেবের মাথাটা যদি কাজে লাগে তো নিয়ে যাও ; ওর মাথার সঙ্গে ওর রাজ্যটাও হাতে আসবে, আমার মাথার সঙ্গে এই ছেড়া পাগড়িটা ছাড়া আর তো কিছুই পাচ্ছ না ! বেশি সুখ্যাতি পাবে ওই মাথাটা নিলে।’ পৃথ্বীরাজ প্রস্তুত হয়ে উঠলেন, কিন্তু বরোজের মধ্যে সারংদেবকে কোথাও খুজে পাওয়া গেল না। তিনি চোখ-রাঙিয়ে খুড়োকে বললেন, “আমাকে ফাকি দিতে চাচ্ছ ? মুরজমল খানিক ভেবে বললেন, ‘এস আমার সঙ্গে বাইরে, বড়ো মাথা না পাও, ছোটো মাথাই নিও ’ বনের মধ্যে খানিক এগিয়ে গিয়ে সুরজমল একটা ভাঙা মন্দির দেখিয়ে বললে, দেখেছ মন্দিরট, くふミ