পাতা:অবনীন্দ্র রচনাবলী দ্বিতীয় খণ্ড.djvu/২৩৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পালকি তখন চলেছে, মুখ বাড়িয়ে বললুম, দাদা, একরকম গল্পটা শেষই করেছিলে, কেবল তোমার মাথার চুল হলদে আর তোমার রক্ত শাদা কেন, সেইটে বলতে বাকি রয়ে গেল।’ 'মাস্টারমশায়ের কাছে জেনে নিও —’ বলেই দাদা আবার ঝিমিয়ে পড়লেন । হু-হু করে পালকি আবার মাঠের দিকে বেরিয়ে গেল । একটু ভয়-ভয় করছে ; বেহারাগুলো মানুষ না ভূত বুঝতে পাচ্ছিনে। পালকির দরজা বন্ধ করে চুপ করে বসে আছি, হঠাৎ একটা কথা মনে পড়ল— মানুষ-উড়ে পালকি-কাধে হুম্মাহুম্মা ডাক ছাড়ে, এরা তো হাক দিচ্ছে না। পড়েছি ভূতের হাতেই ! পড়েছি, আর কোনো ভুল নেই। আচ্ছা দেখা যাক, ভূতপত রী লাঠি তো আছে । তেমন-তেমন দেখি তো দুহাতে লাঠি চালাব । ভূতপত রী লাঠির কথা মনে করেছি কি অমনি ধপাস করে পালকিটা তারা মাটিতে ফেলেছে, কোমরটা আবার খচ করে উঠেছে। তবে রে ভূত-উড়ে, আমাকে এই মাঠে একলা নামিয়ে দিয়ে পালাবে ভেবেছ ! তোল পালকি, ওঠা সোয়ারী’ —বলেই লাঠি নিয়ে যেমন তেড়ে যাব, কোমরটা আমার বেঁকে পড়ল। ভূতগুলো দেখেই খিলখিল করে হেসে অন্ধকারে মাঠে কোথায় মিলিয়ে গেল । মহা বিপদ! এই রাত্তিরে মাঠের মাঝে ভূতের ভয়, বাঘের ভয়, সাপের ভয়, তার ওপর কোমর ভেঙে গেল ! লাঠি ধরে যে গুড়িগুড়ি পালাব তারও জো নেই। মনসা-কাটায় পা ছিড়ে গেছে ৷ ‘দূর কর আর ভাবতে পারিনে, যা হয় হবে ? বলে পালকির ভেতরে চাদর মুড়ি দিয়ে শুয়ে পড়লুম। খিদেও পেয়েছে, তেষ্টাও পেয়েছে । একলা থাকতে-থাকতে ক্রমে ঘুম এসেছে। একটু চোখ বুজেছি কি না বুজেছি আমনি খস করে একটা শব্দ হল । চোখ চেয়ে দেখি, বালির ওপরে গোটাকতক তালগাছ উঠেছে, তাদের মাথা যেন আকাশে ঠেকেছে, আর একটা আলো ঘুরে-ঘুরে সেই তালগাছে ९९(t 4 لا سیت- ه ۹۰