পাতা:অবনীন্দ্র রচনাবলী দ্বিতীয় খণ্ড.djvu/২৪৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সব ভুতুড়ে ভূতের খেলা খেজুরতলায় ইটের ঢেলা. গানটা শুনছি একবার— 'ছুচে, ইষ্ঠুর, কানামাছি, ভোঁদড়, প্যাচ, টিকটিকি, খ্যাকশেয়াল। গানটা শুনছি দু-বার— ‘গঙ্গাফড়িং, জোনাকপোকা, আরসোল, বাদুড় ’ গানটা শুনছি তিনবার— আলো-আলেয়া, ঘূর্ণি-হাওয়া, খেজুরগাছ, ইটের ঢেলা। একবার, তু-বার, তিনবার, বারবার তিনবার ইটের ঢেলা পড়েছে কি আর পালকিযুদ্ধ আমাকে ভূতগুলো ঝপাং করে মাটিতে ফেলে খেজুরগাছের তলায় একটা মরা গরু পড়েছিল সেটাকে নিয়ে লুফতেলুফতে দৌড় মেরেছে। ওদিকে অমনি রামচণ্ডী থেকে রাত তিনটের আরতি বেজেছে— টংটং, টংআ-টং, টংটং-আ-টং ৷ এই খেজুরতলা পর্যন্ত ভূত আসতে পারে, তার ওদিকে রামচণ্ডীতলা, সেখানে রামসীতা বসে আছেন, হনুমান, জাম্ববান পাহারা দিচ্ছে, ভূতের আর সেখানে এগোবার জো নেই। ভূতপত রীর লাঠিরও জোর সেখানে খাটবে না। কাজেই পোটলা-পুটলি, লাঠিছাতা সমস্ত পালকিতে রেখে, কোমর ধরে, খোড়াতে-খোড়াতে বালি ভেঙে রামচণ্ডীতলায় রামসীতা দেখতে তিনটে রাতে অন্ধকার দিয়ে একলা চলেছি। সঙ্গে একটি আলো নেই, হাতে লাঠিটি পর্যন্ত নেবার জো নেই। কী জানি লাঠি দেখে যদি হনুমান মন্দিরে ঢুকতে না দেয় । তখন যাই কোথা ? ‘রাম-রাম’ বলতে-বলতে বালি ভেঙে চলেছি। বালি তো বালি একেবারে বালির পাহাড় । এক-একবার পিছন ফিরে দেখছি ভূতগুলো আসছে কিনা। যদিও এখানকার বালিতে পা দিলেই তাদের মাথার খুলি ফটাস করে ফেটে যাবে তবুও খেজুরগাছটার ওপর থেকে তারা ভয় দেখাতে ছাড়ে না ; টুপ করে হয়তো একটা ২৩২