পাতা:অবনীন্দ্র রচনাবলী দ্বিতীয় খণ্ড.djvu/২৫৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

আমি সিন্ধবাদের হাত ধরে উঠিয়ে তাকে ঠাণ্ড করে টুলে বসিয়ে বললেম, ‘সিন্ধবাদ, শোনো। জানো আমি হারুন-অল-রসিদ, আমার সামনে মিথ্যা কথা বললে তোমার মাথা কাটা যাবে জানো ? সিন্ধবাদ বললে, ‘জানি হুজুর, সেইজন্তেই তো আমার দুঃখু! সব সত্যি বলতে হল হুজুর, একটি মিথ্যা কথা দিয়ে এবাবকার গল্পটা সাজাতে পারলুম না। ওরে আমার লোহার সিন্দুক !— বলেই সিন্ধবাদ টুল থেকে ঘুরে পড়েছে। একেবারে অজ্ঞান অচৈতন্য। মস্থর অমনি তাড়াতাড়ি তার মুখে জল দিতে এসেছে। আমার ভারি রাগ হল, মসুরকে এক লাথি মেবে বললুম, গাধা ! আগে ওর মুখ থেকে সিন্দুকের চাবিটা এইবেল বাব কবে নে । জেগে উঠলে কি আর দেবে ? মস্থর অমনি সিন্ধবাদের মুখে আঙুল দিয়ে বলছে, কষ্ট কত্ত চাবি তো পাইনে ? পাসনে কি রে, দেখ জিবের নিচে ! ‘পাইনে তো কত্তা ? “দেখ, দেখ, গলায় আটকেছে! "চাবি তো নেই কত্তা।” 'খেয়ে ফেলেছে রে গাধ, খেয়ে ফেলেছে, পেট চিরে দেখ, পাজি ' মসুর অমনি ঝট করে তাব পেট চিরে ফেলেছে আবে দেখি পেটের ভেতব বজ্জাত সওদাগর তাব লোহাব সিন্দুকেব চাবটা লুকিয়ে রেখেছে! নিশ্চয় আমার কাছে মিথ্যা কথা বলত— যেমন আল্ল বলে কেঁদেছি হুজুর, অমনি চাবিটাও উড়ে পালিয়েছে। মসুর চাবিটা গোলাপ জলে ধুয়ে আমাৰ হাতে এনে দিলে। আমি মসুরকে হুকুম করলুম, আমার সেই উড়ো-সতরঞ্চি আব মুড়োদূরবীনটা আনতে— যাতে পাখির মতো উড়ে-উড়ে হাওয়া খেয়ে বেড়াই আর সগ গ-মত্ত-পাতালের জিনিস ঘরে বসে দেখি । সতরঞ্চি আসতেই আমি তার ওপরে তাকিয়া ঠেস দিয়ে দূৰবীন ২৩৯