পাতা:অবনীন্দ্র রচনাবলী দ্বিতীয় খণ্ড.djvu/২৬৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

তোমাকেও ভূত হয়ে থাকতে হবে। হিঃ-হিঃহিঃ — বলেই চিকচিক করে আমার চারদিকে অন্ধকারে উড়ে বেড়াতে লাগল । মসুরটা হঠাৎ মরে গিয়ে আমায় ভারি বিপদে ফেলে গেল ! তার মতন এমন নেমকহারাম চাকর আমি দেখিনি ! রাগে দুঃখে আমি গেী হয়ে বসে আছি ; চামচিকেট ঘুরতেঘুরতে যেমন আমার হাতের কাছে এসেছে আর অমনি আমি খপ করে তাকে ধরে ফেলেছি। ধরেই দেখি সেটা সেই এক-বেগ দা সিন্ধবাদ ! ‘তবে রে পাজি ! এখন তোকে কে রাখে । বল কোথায় হীরেগুলো রেখেছিস ? নইলে তোকে ওই সিন্ধুকে বন্ধ করে কালাপানিব জলে ফেলে দেব !’ বলেই আমি তাব হাত থেকে বাক্সের চাবিটা কেড়ে নিলুম। তখন সিন্ধবাদ আর কী করেন? চুপি-চুপি আমাকে যেখানে তার হীরে-জহরতগুলে পোতা আছে সেই জায়গাটার নাম বলে দিল । জায়গাটা কোথায় জানো ? ‘চামচিকেটা যদি আমায় আগে সেটা বলত তবে আমাকে এত কষ্ট পেতে হত না । জায়গাটা হচ্ছে ওই– সে কি-বলে-কি— সেই যেখানে জগন্নাথের যত যাত্রী ঘুরপাক দেয় ! ‘অক্ষয় বট ? 部 'আরে না বাবু, গাছটাছ সেখানে কোথা !? ‘তবে দোলমঞ্চ হবে।’ ‘সেখানে তো ছলতে হয়। ঘুরতে হয় কোথায় ? ‘তবে “চানবেদী” : ‘হ্যা-হ্যা, ওরই কাছাকাছি, ঠিক মনে হচ্ছে না এখন, খানিক বাদে মনে হবে।’— বলেই হারুন্দে চুরুট ফুকতে লাগল ! খানিক পরে জিজ্ঞাসা করি, হারুন্দে, নামটা মনে পড়ল কি ? আমার যে ভারি শুনতে ইচ্ছে হচ্ছে কোথায় হীরেগুলো লুকোনো আছে।’ ૨ઉ ૨