পাতা:অবনীন্দ্র রচনাবলী দ্বিতীয় খণ্ড.djvu/২৬৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ভেঙে পড়ল, ঘোড়া কট কন্দকাটা হয়ে বালির পাকে আটকা পড়ে গেল— মায় সহিস কোচম্যান লোকলস্কর দাসী চাকর ! যে যেখানে ছিল সবাই আড়ষ্ট যেন পাথর ! সুযিামামা কালিদয়ে দইকাদা মেখে গড়াতে-গড়াতে ডাঙায় গিয়ে উঠলেন। ইন্দ্র্যুম্ন তাড়াতাড়ি ঐরাবত-হাতি নিয়ে মামাকে তুলতে যেমন এসেছেন অমনি গেল ঐরাবতও দয়ে পড়ে। কী করেন ? তখন হনুমানকে ডাকাডাকি। হনুমান এসে দু-বগলে দুজনকে নিয়ে তবে স্বগগে পৌছে দেন। সেইদিন থেকে মুযিামামা আর রথে চড়ে বেড়াতে গেলেন না, পায়ে হেঁটেই আনাগোনা করেন । সিন্ধুঘোটকটা ভাগ্যি ছিল, তাই চড়ে ইন্দ্রদ্যুম্ন হাওয়া খেয়ে বেড়ান। একদিন ইন্দ্রদ্যুম্ন ঘোড়ায় চড়ে এই সমুদরের ধারে হাওয়া খেয়ে বেড়াচ্ছেন, এমন সময় সিন্ধুঘোটকের একটা পা গেছে বালিতে বসে। আর ঘোড়া নড়ে না। ইন্দ্রদ্যুম্ন ঘোড়ার পা ধরে টানাননি করতে ঘোড়ার প।-০ গেল ছিড়ে । তিনি আর কী করেন, সেই খোড়া ঘোড়ায় হ্যাংচাতে-ন্যাংচাতে ছিষ্টিকত্তা ব্রহ্মার কাছে গিয়ে হাজির। গিয়েই ব্রহ্মাকে বলছেন, ‘আমার আর-একটা ঐরাবত-হাতি আর উচু ঘোড়া না হলে চলছে না। দেবতাদের রাজা হয়ে শেষে কি পায়ে হেঁটে বেড়াব ? আমার মান থাকে কেমন করে ? ব্রহ্মা বললেন, “আমি বারে-বারে তোমাদের জন্যে ছিষ্টি করতে পারিনে, যাও নারদের টেকিটা চেযে নিয়ে চড়ে বেড়াও । হাতিঘোড়া পেয়ে যে যত্ন করে রাখতে পারে না তার টকি চড়ে বেড়ানোই ঠিক ? ছিষ্টিকত্তার কাছে তাড়া খেয়ে ইন্দ্রদ্যুম্ন নারদের কাছে হাজির । নারদ বুদ্ধি দিলেন : দেখ ইন্দ্রছায়, তুমি হলে রাজা, টেকি চড়া তোমার শোভা পাবে না, লোকে হাততালি দেবে, তার চেয়ে যাও তপস্যা করোগে, ছিষ্টিকত্তা খুশি হয়ে তোমাকে দুটো কেন দশটা হাতিঘোড়া ছিষ্টি করে দেবেন। ইন্দ্রদ্যুম্ন রাজার ছেলে, তপস্তার নাম শুনেই ভয়ে তার মুখ শুকিয়ে ২৫৫