পাতা:অবনীন্দ্র রচনাবলী দ্বিতীয় খণ্ড.djvu/২৭১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

যাও, সেখানে ইন্দ্রের সিন্ধুঘোটকের ছেড়া পা-খানি উদ্ধার করে গন্ধমাদন থেকে বিশল্যকরণীর পাতার আঠা দিয়ে ইন্দ্রস্থ্যমের খোড়া ঘোড়া জোড়া দিয়ে দাওগে ।।’ তখন হনুমানকে নিয়ে সমুদূরের ধারে ইন্দ্রছন্ন হাজির । সেখানে তখনো সিন্ধুঘোটকের ছেড়া পা-খানা বালির ওপরে লটপট করছিল— হনুমান সেই পা ধরে দিয়েছেন এক টান, আর আমনি বালির নিচ থেকে হড়হড় করে একটা মন্দির বেরিয়ে এল । হনুমান তো ঘোড়ার পা-খান ইন্দ্রদ্যুম্নের কাছে রেখে বিশল্যকরণীর পাতা আনতে যান, এদিকে ইন্দ্রদ্যুম্ন মাসির বাড়ি থেকে জগন্নাথ, বলরাম, সুভদ্রাকে এনে সেই মন্দিরে পুজো লাগিয়ে দিয়েচেন । হনুমান এসে দেখেন মন্দির দখল । তখন হনু রেগেই লাল ! বলে, ‘আমি বিশল্যকরণীর পাতা দেব না। আমার মন্দির, আমি রামচন্দ্রকে এখানে বসাব মনে ছিল । তুমি কেন জগন্নাথকে বসালে ? বড়ো গোলযোগ দেখে ইন্দ্রদ্যুম্ন ব্রহ্মাকে আনতে ছুটলেন । ব্রহ্ম৷ এসে বললেন, ‘হনুমান, যিনি জগন্নাথ, তিনি রঘুনাথ । তুমি গোল কোরো না আমি সব ব্যবস্থা করছি ? সেই দিন থেকে প্রতি বছর রামনবমীর দিন জগন্নাথের রঘুনাথবেশ করে পুজোর ব্যবস্থা হল । ইন্দ্রদ্যুম্ন বললেন, ‘ছিষ্টিকর্ত্তা, আমার ঠাকুরের কী বেশ হবে তার ব্যবস্থা করুন ? ব্রহ্মা ব্যবস্থা করলেন– পাবন্ধি-বেশ । ইন্দ্রহাম তো ঘোড়ায় চড়ে স্বগ গে যান আর হনুমান রাবণের মধুবন থেকে যে আমের আঁঠিটি সীতাদেবীর হাত থেকে পেয়েছিলেন, সেটিকে একটা বাগানে বসিয়ে দিলেন । দেখতে-দেখতে সেই বাগান এক আমবন হয়ে উঠল আর হনুমান সেই বনের ভেতরে দলবল নিয়ে মধুরেণ সমাপয়েৎ করে আরামে রইলেন। এই তো গেল ত্রেতাযুগে– মান্নষ যখন লঙ্কাগাছেৰ মতে, তখনকার কথা। এখন সত্যিযুগের কথা বলতে বল তো বলি– কিন্তু $ ©Ꮔ

  • {. Հ- Գ