পাতা:অবনীন্দ্র রচনাবলী দ্বিতীয় খণ্ড.djvu/২৯০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

করে তাতি-বুড়ো মাকু চালায় আর সরসর করে কাপড় বার হয়— দশ হাতি, বারো হাতি, চোদ হাতি, খ্যাপা হাতি, পোষা হাতি ? ‘না ভাই, তাতশালা কখনো দেখিনি, কিন্তু কাপড়ের হাতি আমি অনেক দেখেছি, আসল হাতির মতোই সেগুলো মোটাসোটা ? ‘আচ্ছা গোল কোরো না, শোনো ফের বলছি— ‘র্তাতি ঘরে ব্যাঙের বাসা, তিনটে পেড়েছে ছানা । খায় দায় নিদ্রা যায়, তাতঘরে তার থানা ? ‘বুঝেছ ? বুঝেছি, তাতির ঘরে তিনটে ব্যাঙের ছানা হল। কিন্তু তারপর কী হল তো বুঝতে পাচ্ছিনে ? 'এঃ, তুমি ভারি বোকা! তাতির ঘরে ব্যাঙের তিনটে ছানা হল, বাড়ির সবাই যখন খেয়ে-দেয়ে ঘুমোতে গেল, তখন র্তাতি-বুড়ো গিয়ে থানায় খবর দিচ্ছে— দারোগা সাহেব, তিনটে ব্যাঙের ছানা আমার সব সুতো খেলে— সর্বনাশ করলে । ‘কি, আমি থাকতে ডাকাতি ? রামসিং, আমায় এক ছিলিম তামাক দাও আর র্তাতির সঙ্গে গিয়ে বেঁধে আনো সেই ব্যাঙ তিনটেকে !— বলেই দারোগা-সাহেব গুড়গুড়ি টানতে-টানতে খাটিয়াতে শুলেন । যেমন শোয়া আর অর্মনি ঘুম ! এখন তো— “খায় দায় ঘুম যায়, তাতঘরে তার থানা”— এটার মানে বুঝলে ? তারপর শোনো— ‘মুবুদ্ধি তাতির ব্যাট কুবুদ্ধি ধরিল। তার একটি ছানারে পায়ে চেপে মেল । সুবুদ্ধি তাতি ঠিক কাজ করেছিল— রামসিং এসে তিনটি ছানাকেই পুলিশে নিয়ে জরিমান করে দিত— কিন্তু মুবুদ্ধির ছেলে কুবুদ্ধি করেছে কি, আস্তে আস্তে একটি ব্যাঙকে ধরেছে, ধরেই পা দিয়ে এক টিপ নি! আর অমনি ফটাস করে ভূইপটকার মতো ফেটে গেছে ব্যাঙের পেট, যেমন ফটাস করে শব্দ হওয়া আমনি দুটো २१७