পাতা:অবনীন্দ্র রচনাবলী দ্বিতীয় খণ্ড.djvu/২৯১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ব্যাঙ পগার পার— একটা গিয়ে মাঠের ধারে গাছে চড়েছে, আর একটা করেছে কী, বলি তবে শোনো— ‘আর একটি ব্যাঙ ছিল বড়ই সিয়ানা । লিখন পাঠায়ে দিল পরগনা-পরগনা ৷ আজিপুর গাজিপুৰ মধুপুৰ ডাঙা। লক্ষ ব্যাঙ এল তথা চক্ষু করে রাঙা ॥ ‘এসেই কুবুদ্ধির মুখে লাথি ! লক্ষ ব্যাঙের রাঙা চোখ দেখেই র্তাতির পোর প্রাণ উড়ে গিয়েছিল, তার ওপর ব্যাঙের লাথি খেয়ে সে তো আধ-মরা হয়ে থাক। এদিকে মুবুদ্ধি আর রামসিং দোবে আসছেন রাজহাটেব মাঠ দিয়ে—এমন সময় হল কি ? না— ‘সুতোনাতা নিয়ে তাতি যাচ্ছে রাজার হাট । লক্ষ ব্যাঙে তাড়াতাড়ি আগুলিল ঘাট ॥ "যেমন ব্যাঙগুলোকে দেখা অমনি রামসিং তালপাতার-সেপাই— বাপরে ! বলে মেরেছে এক দৌড় । তাতি তখন আব করেন কি, না— ‘তরাসে মবাসে র্তাতি গাছেতে উঠিল । ‘একটা ছিল মুডে খেজুৰ গাছ, যেমন তাড়াতাড়ি ওঠা আর অমনি— ‘কোথা ছিল কোলাব্যাঙ মুখে লাথি মেল ৷ 'লাথির ওপর লাথি ! কোলাব্যাঙের লাথি খেয়ে ষ্টাতি তো মরো-মরে ; ধপাস করে পড়েছে খেজুবতলায় আর অমনি সব ব্যাঙ তাকে এসে ধবেছে! তখন সেই সিয়ানা ব্যাঙ বলছে— ছেড়ে দাও— ছেড়ে দাও— ‘মেরো না ধর না, ভাই র্তাতিরে গোসাই । ‘এখনি দারোগ এসে হাতে হাতকড়ি দেবে। পায়ে বেড়ি পড়লে তখন পালানো দায়। সরে পড় এইবেলা !— বলতেই যত ব্যাঙ আজিপুরে গাজিপুরে চম্পট! এদি ে তো— ‘মেরো না ধর না, ভাই তাতিরে গোসাই । २११