পাতা:অবনীন্দ্র রচনাবলী দ্বিতীয় খণ্ড.djvu/২৯৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অমনি শেয়ালটা কসমস করে চটি জুতোটা গিলে ফেলেছে, তারপর আমার দিকে চেয়ে বলছে— ‘বাপ ভনরি ! কি খাইতে সাৰ করেছ ?—চালদা মনুরি ? আমি শেয়ালকে বলছি, “দেখ শেয়াল, আমার নাম ভনরি নয় আর আমি তোমার বাপও নয়। আমাকে ভুল করে এখানে এনেছ। আমি চালদা পেলে খাই কিন্তু মমুরি খাটিয়ে তার ভেতর আমরা ঘুমোই, মনুরি আমি কিছুতে খাব না ! শেয়ালটা বোধহয় আমার কথা বুঝলে না, সে আবার বললে— ‘বাপ নন্দলাল ! কি খাইতে সাধ করেছ ?— পাকা তাল ? ‘ওরে বাপু, আমি নন্দলালও নই, ভনরিও নই, তোর বাপও নই! তোর বাপের নাম হল রত আর আমার নাম হল অবু। দুটো তাল পেড়ে দাও তো খাই, নয়তো বল ঘরে যাই। তালের বড়া কিম্বা তালফুলুরি, না হয় গাছপাকা তাল, এই তিনটের একটা যদি দিতে পার তো থাকি, নয়তো আমাকে বাপু পিসির বাড়ি রেখে এসো ? ‘এই তো তুমি অন্যায় কইলে । তাল তোমাকে দিই কেমন করে ? তালগাছে কে থাকে জানো ? বলেই শেয়ালট বলছে – ‘এক যে আছে একা-নোড়ে, সে থাকে তালগাছে চড়ে । দাত দুটো তার মুলোর মতো, পিঠখানা তার কুলোর মতো ! কান ছুটে তার নোটা-নোট, চোখ দুটো আগুনের ভাটা! কোমরে বিচুলি দঢ় বেড়ায় লোকের বাড়ি-বাড়ি । ২৭৯