পাতা:অবনীন্দ্র রচনাবলী দ্বিতীয় খণ্ড.djvu/২৯৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

তাল খেতে যে র্কাদে– তারে ঝুলির ভেতর বাধে। গাছের ওপর চড়ে আর তুলে আছাড় মারে।’ ‘গুইরে একা-নোডে '— বলে শেয়ালটা যেমন আমায় ভয় দেখিয়েছে অমনি আমি ভ্যা করে কেঁদে ফেলেছি, আর অমনি কি একটা তালগাছে উড়ে এসে বসেছে আর মাথা নেড়ে-নেড়ে বলছে— ‘কান-কাটাটা বলে আমি এই গাছেতে আছি । যে ছেলেট কাদে তার কানে ধরে নাচি ॥’ আমার তখন আরো ভয় হয়েছে, আমি দুই হাতে কান চেপে ধরে র্কোস-ফোস করে ফুপিয়ে একেবারে চিৎকার করে কেঁদে উঠেছি। অমনি শেয়াল বলে উঠেছে, ‘কেয়া হুয়া কেয়া হুয়া! আর সেখানে যত শেয়াল ছিল সব ছুটে এসে ডাকতে লেগেছে, ‘ক্যাহুয়া-ক্যাহুয়াক্যান্থয়ারে-ক্যাহুয়া ? বুড়ি খ্যাকশেয়ালি ছিল গর্তের ভেতর, তাড়াতাড়ি বেরিয়ে এসে বলছে, “তোরা কী গোল লাগিয়েচিস ! ভালো করে দেখ দিকিন কে ? যত ভুড়োশেয়াল আমার মুখের কাছে এসে আলেয়া ধরে-ধরে দেখছে আর খ্যা-খ্যা করে হেসে পালাচ্ছে। এমন সময় অন্ধকার থেকে হাতি আমার পিঠে শুড় বুলিয়ে বলছে— ‘ওরে-বাপ নয় রে মানুষ উড়ে পড়ল ফানুশ ? মানুষের নাম শুনেই শেয়ালদের ভয় হয়েছে । তখন তারা সব ল্যাজ গুটিয়ে হাতজোড় করে বলছে— ‘বাপধন রাজার নাতি চড়ে কে গো মস্ত হাতি २४०