পাতা:অবনীন্দ্র রচনাবলী দ্বিতীয় খণ্ড.djvu/২৯৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অমনি গুরু এক বেতের খোচা দিয়ে বলছেন, "ভুল হল ! লেখাপড় করলে কি হয় ? সুখে থাকে ? ন দুঃখে থাকে ? আমার তখন মনে পড়েছে পিসির বাড়িতে সব উপ্টো। আমি অমনি ফস করে বলেছি, দুঃখে থাকে মশাই, দুঃখে থাকে ! ‘ভালো রে ভালো! আচ্ছা তোর নাম তো অৰু? লেখ দেখি— ‘অবু তবু গিরি স্থত । মায়ে বলে পড় পুতা। পড়লে শুনলে ছধি ভাতি । না পড়লে ঠ্যাঙার গুতি ॥’ আমি জানি সব উল্টো লিখতে হবে, না হলে বেত, কাজেই আমি মাটিতে খড়ি দিয়ে একটা চৌকো ঘর কেটে লিখছি—প্যাচাপেচি দুই ভূতা। কিন্তু যেমন লিখছি—মায়ে বলে পড় পুতা— অমনি আমার মাকে মনে পড়ে গেছে, আমি খড়ি ফেলে দিয়ে একেবারে পাঠশালা থেকে দৌড় ! এক-দৌড়ে যষ্ঠতলায় হাজির । সেখান থেকে দেখছি—গঙ্গার ওপারে তুলসীগাছের পাতা বুর-কুর করছে, তারই তলায় মা-আমার দুগ গো-পিদিম জ্বালছেন । ওদিকে দেখছি গুরুমশায় ঠ্যাঙার গুতি হাতে, সঙ্গে হারুন্দে, কিচ কিন্দে আর সেই মনসা-বুড়ো আর আংলা-কাংলা-বাংলা যত ভূতপেরেত | যেমন গুরুকে দেখা আর মা ! বলে গঙ্গ। ঝাপিয়ে পড়েছি, অমনি দেখি আমাদের বাড়িতে হাজির । সেখানে দেখি ঝড় হচ্ছে, শিল পড়ছে, আর আমবাগানে আমার ছোটো-ছোটো দাদাদিদিরা আমকুড়োতে লেগেছে। আমিও মায়ের বাড়িতে আঁচল ভরে শিল আর আম কুড়োতে লেগে গেছি। ভূত-পেরেত কেউ সেখানে আসবার জো নেই। এসেছে কেবল আমার সঙ্গে উড়তেউড়তে গোবিন্দর মায়ের ভোদড়-ছেলে, আর আমার বন্ধু সেই লক্ষ্মীপ্যাচাটি । তাকে একটা আমগাছে কোটরে বাসা বেঁধে দিয়েছি, রোজ রাত্তিরে সে আমার গায়ে ফু দেয় আর আমি মাসির ՀեՖ