পাতা:অবনীন্দ্র রচনাবলী দ্বিতীয় খণ্ড.djvu/৩০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মুখ নেই, অন্তঃপুরে মুখ নেই, উপবনে সুখ নেই– কোথাও মুখ নেই। সংগীতশালীয় গান বন্ধ হল, মৃত্যশালায় নাচ বন্ধ হল, উপবনে উৎসব বন্ধ হল। রাজার দুঃখের সীমা রইল না। একদিকে বনবাসিনী শকুন্তলা কোলভরা ছেলে নিয়ে হেমকুটের সোনার শিখরে বসে রইল, আর একদিকে জগতের রাজা, রাজাহুম্মন্ত জগৎজোড়া শোক নিয়ে ধূলায় ধূসর পড়ে রইলেন। কতদিন পরে দেবতার কৃপা হল । স্বৰ্গ থেকে ইন্দ্রদেবের রথ এসে রাজাকে দৈত্যদের সঙ্গে যুদ্ধ করবার জন্তে স্বৰ্গপুরে নিয়ে গেল। সেখানে নন্দনবনে কত দিন কাটিয়ে দৈত্যদের সঙ্গে কত যুদ্ধ করে, মন্দারের মালা গলায় পবে, রাজা রাজ্যে ফিরছেন– এমন সময় দেখলেন, পথে হেমকূট পৰ্বত, মহর্ষি কশ্যপের আশ্রম । রাজা মহৰ্ষিকে প্রণাম করবার জন্য সেই আশ্রমে চললেন । এই আশ্রমে অনেক তাপস, অনেক তপস্বিনী থাকতেন, অনেক অঙ্গর, অনেক অঙ্গর থাকত। আর থাকত— শকুন্তলা আৰ তাব পুত্র রাজপুত্র সর্বদমন । রাজা দুষ্মন্ত যেমন দেশের রাজা ছিলেন তার সেই রাজপুত্র তেমনি বনের রাজা ছিল। বনের যত জীবজন্তু তাকে বড়েই ভালোবাসত | সেই বনে সাত ক্রোশ জুড়ে একটা প্রকাণ্ড বটগাছ ছিল, তার তলায় একটা পকাও অজগর দিনরাত্রি পড়ে থাকত। এই গাছতলায় সর্বদমনের রাজসভা বসত। হাতিরা তাকে মাথায় করে নদীতে নিয়ে যেত, শুড়ে করে জল ছিটিয়ে গা ধুইয়ে দিত, তারপর তাকে সেই সাপের পিঠে বসিয়ে দিত – এই তার রাজসিংহাসন । তুদিকে দুই হাতি পদ্মফুলের চামর Ֆb