পাতা:অবনীন্দ্র রচনাবলী দ্বিতীয় খণ্ড.djvu/৩২৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কুয়াশায় চারিদিক আচ্ছন্ন হয়ে গেছে— পৃথিবীর উপরে আর সূর্যের আলোও পড়ছে না, তারার আলোও আসছে না— দিনরাত্রি সমান বোধ হচ্ছে । ঝাপসা আলোতে সব রঙ বোধ হচ্ছে যেন কালে৷ আর শাদা, সব জিনিস বোধ হচ্ছে যেন কতদূর থেকে দেখছি— অস্পষ্ট ধোয়া দিয়ে ঢাকা, শিশির দিয়ে মোছা ! উত্তরমুখে খোলা-দরজায় দাড়িয়ে সিদ্ধার্থ দেখছিলেন, পৃথিবীর সব সবুজ, সব পাতা, সব ফুল বরফে আর কুয়াশায় ঢাকা পড়েছে ; বরফের চাপনে পথঘাট উচু-নিচু ছোটাে বড়ো সব সমান হয়ে গেছে ! আকাশ দিয়ে আর একটি পাখি উড়ে চলছে না, গেয়ে যাচ্ছে না ; বাতাস দিয়ে আজ একটিও ফুলের গন্ধ, একটুখানি সুখের পরশ, কি আনন্দের সুর ভেসে আসছে না ; শাদা বরফে, হিম কুয়াশায়, নিঝুম শীতে, সব চুপ হয়ে গেছে, স্থির হয়ে গেছে, পাষাণ হয়ে গেছে— পৃথিবী যেন মূৰ্ছা গেছে। সিদ্ধার্থ দিনের পর দিন উত্তরের হিম কুয়াশায় শাদা বরফের মাঝে দাড়িয়ে ভাবছিলেন — কুয়াশার জাল সরিয়ে দিয়ে আলো কি আব আসবে না ? বরফ গলিয়ে ফুল ফুটিয়ে পৃথিবীকে রঙে-রঙে ভরে দিয়ে সাজিয়ে দিয়ে আনন্দ কি আর দেখা দেবে না ? চারিদিক নিরুত্তব ছিল । সিদ্ধার্থ কান পেতে মন দিয়ে শুনছিলেন, কোনো দিক থেকে কোনো শব্দ আসছিল না । সেই না-রাত্রি-না-দিন, না-আলো-না-অন্ধকারের মাঝে কোনো সাড়া মিলছিল না । তিনি স্তব্ধ হয়ে দাড়িiেছলেন । যতদূর দেখা যায় ততদূর তিনি দেখছিলেন বরফের দেয়াল আর কুয়াশার পর্দা ; তারি ভিতর দিয়ে জরা উকি মারছে— শাদা চুল নিয়ে ; জর কাপছে— পাণ্ডাশ মুখে শূন্যে চেয়ে ; মরণ দেখা যাচ্ছে —বরফের মতো হিম শাদা চাদরে ঢাকা । আয়নায় নিজের ছায়। দেখার মতো, শাদা কাগজের উপরে নানা রকমের ছবি দেখার মতো, সেই ঘন কুয়াশার উপরে সেই জমাট বরফের দেয়ালে সিদ্ধার্থ নিজেকে আর জগৎসংসারের সবাইকে দেখতে পাচ্ছেন— জন্মাতে, বুড়ো হতে, মরে-যেতে ; মহাভয় তাদের সবাইকে তাড়িয়ে নিয়ে \Noo (* `ब्ध, :مه ج حسده