পাতা:অবনীন্দ্র রচনাবলী দ্বিতীয় খণ্ড.djvu/৩৩২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

গাছের ডালে বেঁধে থাকতে হয়। প্রথমে দিনের মধ্যে একটি কুল, তারপর সারাদিনে একটি বেলপাত, ক্রমে একফোটা জল, তারপর তাও নয়— এমনি করে যোগসাধন না করলে কোনো ফল পাওয়া যায় না। কাজেই সিদ্ধার্থকে একলা রেখে একদিন রাত্রে তারা কাশীর ঋষিপত্তনের দিকে চলে গেল— সিদ্ধার্থের চেয়ে বড়ো ঋষির সন্ধানে । শিষ্যরা যেখানে সিদ্ধার্থকে একা ফেলে চলে গেছে— উরাইল বনের সেদিকটা ভারি নির্জন । ঘন-ঘন শালবন সেখানটা দিনরাত্রি ছায়া করে রেখেছে। মানুষ সেদিকে বড়ো একটা আসে না ; তু-একটা হরিণ আর তৃ-দশটা কাঠবিড়ালি শুকনো শাল-পাত মাড়িয়ে খুসখাস চলে বেড়ায় মাত্র । এই নিঃসাড়া নিরালা বনটির গা দিয়েই গায়ে যাবার ছোটো রাস্তাটি অঞ্জনার ধারে এসে পড়েছে। নদীর ধারেই একটি প্রকাও বটগাছ— সে যে কতকালের তার ঠিক নেই। তার মোটা-মোট শিকড়গুলো উচু পাড় বেয়ে অজগর সাপের মতো সটান জলের উপর ঝুলে পড়েছে। গাছের গোড়াটি কালে পাথর দিয়ে চমৎকার করে বাধানো । লোকে দেবতার স্থান বলে সেই গাছকে পূজা দেয়। ফুল-ফলের নৈবেদ্য সাজিয়ে নদীর ওপারে গ্রাম থেকে মেয়েরা যখন খুব ভোরে নদী পার হয়ে এদিকে আসে, তখন কোনো-কোনো দিন তারা যেন দেখতে পায় গেরুয়া-কাপড়পরা কে একজন গাছতলায় বসেছিলেন, তাদের দেখেই অন্ধকারে মিলিয়ে গেলেন । কাঠুরের কোনো কোনো দিন কাঠ কেটে বন থেকে ফিরে আসতে দেখে, গাছের তলা আলো করে সোনার কাপড়-পরা দেবতার মতো এক পুরুষ ! সবাই বলত, নিশ্চয় ওখানে দেবতা থাকেন ! কিন্তু দেবতাকে স্পষ্ট করে কেউ কোনোদিন দেখেনি— পুন্না ছাড়া ! মোড়লের মেয়ে সুজাতা বিয়ের পরে একদিন ওই বটগাছের তলায় পূজা দিতে গিয়ে পুল্লাকে কুড়িয়ে পেয়েছিলেন। সেই থেকে সে মোড়লের ঘরে আর একটি মেয়ের 8 נס\