পাতা:অবনীন্দ্র রচনাবলী দ্বিতীয় খণ্ড.djvu/৩৩৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

তারা নেই ; রয়েছে কেবল মহাশূন্ত, মহা অন্ধকার। মুখ মেলে কে যেন পুথিবীকে গিলতে আসছে। বোধ হয় তার কালে জিভ বেয়ে পৃথিবীর উপর পড়ছে জমাট রক্তের মতো কালো নাল । ‘মার’ সেই অন্ধকার মুখটার দিকে ফিরে দেখেছে-কি আর বিহাতের মতো ছপাটি শাদা দাত শূন্যে ঝিলিক দিয়ে কড়মড় করে উঠেছে ; আর হুঙ্কার দিয়ে বেরিয়ে এসেছে সেই সর্বগ্রাসী মুখের ভিতর থেকে মার'-এর দল ; চন্দ্র সূর্য ঘুরছে তাদের হাতে ছটো যেন আগুনের চরকা ! দশদিক অন্ধকার করে ঘুরতে-ঘুরতে আসছে— ‘মার'-এর দল ঘূর্ণি বাতাসে ভর দিয়ে, পৃথিবী জুড়ে ধুলার ধ্বজা উড়িয়ে। তারা শূন্ত থেকে ধূমকেতুগুলোকে ঘুরিয়ে-ঘুরিয়ে ফেলছে আগুনের ঝাটার মতো ! পৃথিবী থেকে গাছগুলোকে উপড়ে, পাহাড়গুলোকে মুচড়ে নিয়ে বন-বন শব্দে ঘুরিয়ে ফেলছে তারা চারি দিক থেকে অনবরত শিলাবৃষ্টির মতো ; লক্ষ-লক্ষ ক্ষ্যাপা ঘোড়া যেন ঘুরে বেড়াচ্ছে মার’-সৈন্য বুদ্ধদেবের চারি দিকে ! তাদের খুর থেকে বিদ্যুৎ ঠিকরে পড়ছে, তাদের মুখ থেকে বক্তের জ্বলন্ত ফেন আঁজলা-আঁজলা ছড়িয়ে পড়ছে – সেই বোধিবটের চারি দিকে, সেই পাথরের বেদীর আশেপাশে। উরাইল-বনের প্রত্যেক গাছটি পাতাটি ফুলটি এমন-কি, ঘাসগুলিও আজ জ্বলে উঠেছে ; জ্বলন্ত রক্তে অঞ্জনার জল ঘুরে ঘুরে চলেছে আগুন মাখা। বিদ্যুতের শিখায় তলোয়ার শাণিয়ে মশাল জ্বালিয়ে দলের পর দল যত রক্তবীজ, তারা অন্ধকার থেকে বেরিয়ে বাকে-বাকে উড়ে পড়ছে বুদ্ধদেবের উপরে। তাদের আগুন-নিশ্বাসে আকাশ গলে যাচ্ছে, বাতাস জলে যাচ্ছে, পৃথিবী দেখা যাচ্ছে যেন একখান জলন্ত কয়লা, ঘূর্ণিবাতাসে ঘুরে-ঘুরে চলেছে আগুনের ফুলকি ছড়াতে-ছড়াতে ; তার মাঝে জ্বলন্ত একটা তালগাছ ঘুরিয়ে ‘মার ডাকছে— ‘হান ! হান ? পায়ের নখে রসাতল চিরে জেগে উঠেছে মহামারী। আজ ‘মার’-এর ডাকে রসাতলের কাজল অন্ধকার র্কাথার মতো সর্বাঙ্গে উড়িয়ে নিয়ে আর্তনাদ করে ছুটে আসছে— সে ‘মারী’ । তার ৩২১ च, བནྡེ། ཁམ---- ཤྲྰི >