পাতা:অবনীন্দ্র রচনাবলী দ্বিতীয় খণ্ড.djvu/৩৫৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ব্যাপারটা কতক বুঝিলেন এবং বেচারা যোধপুরনীর জন্ত একটু বেশ ভয় পাইলেন ; কি জানি কি ঘটে । এদিকে রোশন এদিক ওদিক দেখিতে দেখিতে দেখিল যোধপুরের বুড়ারানী এক ঘরে বসিয়া আছেন। সে রানীকে চিনিত, তাড়াতাড়ি গিয়া বলিল— “রানীমা সাহাজাদী বৌরানীকে দেখিতে চাহেন, কোথায় তিনি ?” বলিতে বলিতে বৌরানী সেখানে উপস্থিত। অপুর্ব সুন্দরী ! রোশন সে রূপ দেখিয়া অবাক হইয়া গেল, মনে মনে বলিল এইবার, এইবার সাহাজাদীর দর্পচূর্ণ দেখছি, বড়ো রূপের দেমাক হয়েছে, এইবার দেখা যাবে! বলা বাহুল্য, জেবুন্নেসা রোশনের খাদ নাকের প্রশংসা তাহার সম্মুখে প্রায়ই করিতেন এবং সেজন্য রোশনও সাহাজাদীর নিকটে বিশেষ বাধিত ছিল । মীনাবাজারে সকলে যখন উৎকণ্ঠিত হইয়া ঘন ঘন দ্বারের দিকে চাহিতেছিলেন, সেই সময়ে বৌরানীকে লইয়া রোশন সাহাজাদীর সম্মুখে হাজির করিয়া দিয়া সরিয়া দাড়াইল । বৌরানী সসংকোচে ঘোমটায় মুখ ঢাকিয়া বাদশাজাদীকে কুর্নিশ করিয়া একপাশ্বে দাড়াইয়া রহিলেন। জেবুন্নেসা বুড়ারানীর দিকে চাহিয়া বলিলেন– “রানীজি, আসামী হাজির, এখন বিচার করিতে আদেশ হউক”— জেবুন্নেসা রেশনকে ইসারা করিলেন, রোশন আসিয়া বৌরানীর অবগুণ্ঠন উঠাইয়া ধরিল। রোশনের মুখ অতিশয় গম্ভীর কিন্তু তাহার খাদা নাকের নর্থ কেন যে আমন করিয়া তুলিয়া উঠিতেছিল তাহা কে বলিবে! আমেরের বুড়ারানী সে দিনের মীনাবাজারের বিষম সমস্তার কিরূপ মীমাংসা করিয়াছিলেন তাহা জানা যায় না, তবে রোশন সে রাত্রে সাহাজাদীর শয়নকক্ষের দ্বারে অনেকক্ষণ কান পাতিয়া দাড়াইয়া ছিল এবং সে যে অনেক দীর্ঘনিশ্বাস শুনিয়াছিল সে কথা গোপন রাখে নাই। রোশন সে রাত্রে সাহাজাদীর কক্ষে দু-একবার প্রবেশলাভের চেষ্টাও করিয়াছিল কিন্তু কয়বারই বিফল মনোরথ হইয়া ফিরিয়া আসিয়াছিল। জেবুন্নেসা অতি প্রত্যুষে রোশনকে wNIV