পাতা:অবনীন্দ্র রচনাবলী দ্বিতীয় খণ্ড.djvu/৩৭৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

নিকট যুদ্ধের আহবান পৌছিল এবং তাহার জীবন-যবনিকা শোণিতাক্ত করিয়া ঘাতকের তীক্ষ ছুরি তাহার জীবন-নাট্যের শেষ অঙ্কে ভীষণ অঙ্কপাত করিয়া গেল । গ্রীষ্মের সন্ধ্যা। যমুনার উপর দিয়া দক্ষিণবায়ু বহিতেছে— রঙমহালের সুপ্রশস্ত খোলা ছাদের উপরে সুন্দরী কাহারিয়াগণের স্বন্ধে সোনার তামদানে মহম্মদ শা সন্ধ্যাবায়ু সেবন করিয়া বেড়াইতেছেন। আকাশে দুইটি মাত্র তারা দুইখণ্ড কোহিমুরের মতো জ্বলিতেছে, নিভিতেছে। ঘরে ঘরে তখনো প্রদীপ জ্বলে নাই । এই সময় তাতারী প্রহরিণী আসিয়া বাদশাহের হস্তে একখানি তসবীর দিয়া জানাইল— নাদির আর নাই ; সালেবেগ এইমাত্র মসুদ হইতে সে সংবাদ লইয়া পৌছিয়াছে এবং বাদশাহের জন্য এই সামান্ত উপহার কজুর দরবারে দাখিল করিয়াছে। মহম্মদ শ তসবীরখানি যত্নের সহিত উঠাইয়া লইলেন। তসবীরের এক পৃষ্ঠায় দেওয়ানী আমের দৃপ্ত— শূন্ত সভায় হৃতসর্বস্ব মোগল বাদশা! এই করুণ দৃশু ঘিরিয়া সোনার অক্ষর জ্বলজ্বল করিতেছে— ‘সামতে আমালে মা ই সুরতে নাদির গ্রীফত । তসবীরের অন্য পৃষ্ঠায় নাদিরের রক্তাক্ত দেহের উপরে ছুরিকাহস্তে সালেবেগ, আর সেই ছবি ঘিরিয়া রক্তের অক্ষর মাণিক্যের মতো জ্বলিতেছে— বয়েক গর্দিসে চরখ, নীলোক্ষরি না নাদির বজা মুন্দ নে নাদরী। স্বনীল নীলাম্বুজের স্যায় নীলাকাশ একটিবার মাত্র আবর্তিত হইয়াছে কি না— ইহারি মধ্যে নাদিরের সঙ্গে নাদিরি হুকুম পর্যন্ত লোপ পাইয়াছে । বাদশাহ যখন তসবীর হইতে মুখ তুলিলেন তখন আকাশে কেবলমাত্র একটি তারা যমুনার জলে ছায়া ফেলিয়া বিকৃঝিকৃ করিতেছে । මණ්H