পাতা:অবনীন্দ্র রচনাবলী দ্বিতীয় খণ্ড.djvu/৩৮১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কারণটার তদন্ত অবিলম্বে করবে— পাজিতে এ-বৎসর সকল প্রকার মক্ষিকার কোঠায় শূন্ত দেখছি অথচ মশার জালায় নিদ্রা হচ্ছে না, এরই বা অর্থ কী । কর্তার চোখ খোলবার মূলে এই মশা। এই মশা-বংশ নিমূল না হলে রক্ষণ নেই এটি বেশ করে আচার্যিদের সমঝে দিয়ে প্রধান কর্মচারী সদার-মালীকে পাখির সন্ধানে পাঠালেন । আজ এই ফুটে বড়ো বড়ো কাজ সারতে র্তার নাওয়া-খাওয়া হতে বেলা দুটো বাজল । ইতিমধ্যে কর্তার খানসামা তিনবার জেনে গেছে পাখি এল কি না । তত্ত্বাবধানিক অতি গম্ভীর লোক । সকলের চেয়ে তিনি কম কথা বলেন, কম চলা চলেন । পাখি যে কী জানোয়ার এবং মশা যে কী পাখি এটা তার জানবার কোনোদিন প্রয়োজনও হয় নি, সুবিধাও ছিল না— কাজের চিন্তায় তাকে এতই ব্যস্ত থাকতে হয়। লোকের দশটা প্রশ্নের উত্তরে তিনি এ-পর্যন্ত মাত্র একটি চুটু’– তাও সম্পূর্ণ পরিষ্কার উচ্চারণ না করেই— বলে এসেছেন, আর তাকে আজ কর্তার প্রত্যেক প্রশ্নের খুটিয়ে খুটিয়ে উত্তর দিতে হচ্ছে। এদিকে মালী এসে জানালে পাখির কোনো খবরই পাওয়া যাচ্ছে না। এই-সব উৎপাতে হয়রান হয়ে কর্মচারী যখন মাথায় হাত দিয়ে বসে পড়েছেন এবং পাখি না হাজির করতে পারলে মাথা কাটা যাবে এ কথা চুপিচুপি জানিয়ে উকিল ডেকে বিষয়-আশয়ের বন্দোবস্ত করে একটি উইল লেখবার উদ্যোগ করছেন তখন তার উকিল একটু মাথা চুলকে বললেন— ‘বলতে সাহস হয় না— একবার মজলিসি লোকদের নামের লিষ্টিখানা উল্টেপাণ্টে দেখলে হত নি ! যদি পাখি বলে কোনো কেউ হুজুরে কোনে কালে নিমন্ত্রণ-পত্রের জন্য সওগাদ দিয়ে থাকে তবে সহজেই তার ঠিক-ঠিকানা পাওয়া যাবে।’ উকিলের কথামত দপ্তরখানার নামের তালিকা ঘেটে দেখা গেল, তাতে পায়ের কোঠায় ও প’য়ের কোঠায় অনেকগুলো পা ও পদবীওয়াল নাম, কিন্তু পাখি কোথাও খুজে পাওয়া গেল না। তারপর \రిత్రిళి