পাতা:অবনীন্দ্র রচনাবলী দ্বিতীয় খণ্ড.djvu/৩৮৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মাতৃগুপ্ত কবি মাতৃগুপ্ত উজ্জয়িনীতে রাজা হর্ষবর্ধনের সভায় অতি দুঃখে দিন কাটাচ্ছেন ; রাজার সেবা তিনি প্রাণপণে করেছেন, কিন্তু রাজার সুনজর একদিনও তার উপর পড়েছে এ কথা কেউ বলবে না সেই মলিন-মুখ, ছেড়া-কাথা মাতৃগুপ্তকে দেখে । ঋতুরাজের মতে রাজা হর্ষ সবাইকে মুখের হিল্লোলে পূর্ণ করলেন ; কিন্তু দুঃখ– সে শীতের মতো কবির চারিদিকে জড়িয়ে রইল। রাজা মাতৃগুপ্তের কবিতা থেকে সেটির ইঙ্গিত পেয়েও উদাসীন রইলেন। এইভাবে কবি কত শীত যে বিন পুরস্কারে হর্ষবর্ধনের সেবায় কাটালেন তার ঠিক নেই। রাজা যখনই শোধান— ‘কবি কী সংবাদ ? কবি উত্তর দেন ছেড়া কাথা নিজে. গায়ে জড়িয়ে নিয়ে—"বড়ো শীত মহারাজ ! হুতাশের গরম নিশ্বাস বুকের মধ্যে না যদি থাকত, আর যদি হর্ষের কথা কু-একটি মাঝে-মাঝে আগামী বসন্তের আশার মতো শুনতে না পেতেম, তবে নিশ্চয়ই মরেছিলেম । রাজা মনে মনে কবির কথায় দুঃখ পান ; আর এতদিন কবিকে অনর্থক যে নানা ভোগ ইচ্ছে করে ভোগাচ্ছেন সেটা ভেবেও লজ্জা পান ; কিন্তু মুখে বলেন লক্ষ টাকার কাশ্মিরী শাল নিজের গায়ে জড়িয়ে নিয়ে– “শীত তে৷ মোটেই বোধ হচ্ছে না কবি ! কবি একটু স্নান হেসে উত্তর করেন— ‘লোকের হর্ষবর্ধন বসন্ত কাল ; শীতের খবর তো তার কাছে পৌছতেই পারে না মহারাজ । একদিন বসন্তকালে রাজা উপবনে বিহার করছেন, মলিন মুখে মাতৃগুপ্তকে ছেড়া কাথা মুড়ি দিয়ে আসতে দেখে রাজা বললেন – ‘তুমি ও আমি দুজনে কি আজ সমান সুখী নয় ? এই বসন্তকালে শীত তো পালিয়েছে দেশ ছেড়ে, তবে এখনো তোমার মলিন মুখ ছেড়া কাথা কেন বল তো কবি ? কবি উত্তর দিলেন– ‘মহারাজ, আপনার সঙ্গে কি আমার তুলনা ? আপনি ওই সম্মুখের ক্রীড়া \రి\ఏ ॐ५, २-२8