পাতা:অবনীন্দ্র রচনাবলী দ্বিতীয় খণ্ড.djvu/৩৯১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

হরিণ পালিয়ে গেল। স্বপ্নের অর্থ ভাবতে ভাবতে মাতৃগুপ্ত সে-রাত্রির মতো মুরপুরের চটিতে এসে আশ্রয় নিলেন। তারপর হর্ষবর্ধনের দানপত্র যথাসময়ে কাশ্মীরের প্রধান মন্ত্রীর হাতে দিয়ে মাতৃগুপ্ত প্রত্যুত্তর চাইলেন। তখন মন্ত্রী কবিকে প্রণাম করে বললেন– “অমুমতি দেন তো অভিষেকের আয়োজন করি । সিংহাসন কেন আর শূন্ত থাকে ? কবি আশ্চর্য হয়ে শোধালেন— ‘কার অভিষেকের অনুমতি চাচ্ছেন আপনি আমার কাছে ? মন্ত্রী উত্তর দিলেন– “হে সুকবি, আপনারই । কবি বুঝলেন, হর্ষবর্ধন তার মাথায় বাজছত্র না দিয়ে ছাড়লেন না । তিনি মন্ত্রীকে ছেড়া কাথা দেখিয়ে বললেন— ‘মন্ত্রী, এখানা সিংহাসনে বিছিয়ে দিতে বলো, আর অভিষেকের আয়োজন করে।’ মাতৃগুপ্ত কাশ্মীরের সিংহাসনে বসবার অল্পদিন পরে, হর্ষবর্ধন স্বর্গে গেলেন এ-খবর যেদিন কাশ্মীরে পৌছল, সেইদিন কবি রাজছলেব মায়া পরিত্যাগ করে ছেড়া কথা স্কন্ধে ফেলে যে পথে এসেছিলেন সেই পথে বাৰাণসীতে চলে গেলেন। סףס