পাতা:অবনীন্দ্র রচনাবলী দ্বিতীয় খণ্ড.djvu/৩৯৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

জেস্ত-সভা বা জন্তু-জাতীয় মহাসমিতি জেন্ত-সভার প্রথম অধিবেশনের অস্থায়ী সম্পাদক সজারুর চতুষ্পদীক৷ টিপ্পনী ; যথা— প্রস্তাবনা সাম্য মৈত্রী স্বাধীনতা— এ কেবল কথার কথা। জীব-স্থষ্টি হয়ে অবধি মনু আর সেই আন্তিকালের বদ্যিকুড়ি থেকে আরম্ভ করে এ পর্যন্ত মানুষরা মুখেই বলে আসছে ‘জীবে দয়া, কিন্তু কাজের বেলায় আমাদের কাউকে দেখে জিভে জল আসে— চোখে নয়, এটা জানা কথা, কাজেই মানুষ যতই জিভ নেড়ে বলুক— জীবে দয়া করছে ঠিক এর উল্টোটা । এই কারণে যত জীবজন্তু এমন-কি পোকামাকড় তারা পর্যন্ত জ্বালাতন হয়ে উঠেছে। এক্ষেত্রে মানুষের সঙ্গে আর ভাব রাখা চলছে না। বাস্তবিক মানুষের চেয়ে আমরা কমটা কিসে যে চিরদিন তাদের শাসনে চলতে হবে, হুকুমের চাকর ? মানুষের সঙ্গে কোনো আর বাধ্যবাধকতা না রাখাই স্থির করে, ছোটাে বড়ো সব জানোয়ার মিলে এক সভা গঠন করা গেছে, যার নাম হচ্ছে— মনু-তাড়নী জাস্তব হিতকারী জাতীয় মহাসমিতি বা জেস্তসভা । ইতিমধ্যেই সভাটির প্রতিষ্ঠা হয়ে গেছে। গত পূর্ণিমায় আলিপুরের সরকারি চিড়িয়াখানার গোলচানকাতে এই সভার প্রথম অধিবেশনের বন্দোবস্ত করা গিয়েছিল, কেননা পৃথিবীর জীবজন্তুকে একত্র করার পক্ষে এমন স্থান আর দ্বিতীয় নাস্তি । এ কথা বলাই বাহুল্য যে, সেদিনের সভার কাজ পাশব প্রথা-মতো যতদূর সম্ভব বাঘাড়ম্বর ইত্যাদি দ্বারায় সর্বাঙ্গসুন্দর করে তোলার জন্তে প্রাণপণের ত্রুটি হয় নি। অভিভাষণ স্বাধীনতার মহামন্ত্রে অনুপ্রাণিত হয়ে মহাপুরুষ বীর বনমানুষ — তিনি উৎপীড়িত জীব-জগৎকে মুক্তি দিতেই যেন বাসন্তী পূর্ণিমার দিনে אףס\