পাতা:অবনীন্দ্র রচনাবলী দ্বিতীয় খণ্ড.djvu/৪০০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পুকুরের হাস গিল্পীর গলা জড়িয়ে ধরেছিলেন যে তাতে করে গিল্পীর সরু গলা তখনই বাতাহত মৃণালদণ্ডের মতো ভেঙে পড়ল, নেকড়ে-বাঘের সঙ্গে কোলাকুলিতে ভেড়ার, আর গো-বাঘার সঙ্গে জাপটা-জাপটিতে ঘোড়ার ওই একই দশা হয়েছিল। প্রতিপক্ষেরা হয়তো বলবেন, যে খায় আর যাকে খায় এ-দুজনে কোলাকুলি করতে গেলেই এই ফল কিন্তু আমরা জোরের সঙ্গে বলতে পারি প্রেমের আতিশয্যই হচ্ছে এই সামান্ত তুর্ঘটনার মূল, তা ছাড়া বৃহৎ কাজে এমন হয়েই থাকে। সুতরাং এ-সব ছোটোখাটো দুর্ঘটনাতে মন না দিয়ে সভ্যগণকে সভার কাজ চালিয়ে যেতে অনুরোধ করে, গগনভেদ পক্ষী— তিনি তারস্বরে যে তিন মহাপ্রাণ জীব জেস্ত-সভার সূত্রপাতেই স্বাধীনতার জন্য প্রাণ দিলেন, তাদের অমর আত্মার কল্যাণের জন্য পশুপতি-স্তোত্র পাঠ করে এক মর্মস্পর্শী বক্তৃতা করলেন। শ্রাম দেশের মহাস্থবির শ্বেতহস্তীর “সর্ব জীবে দয়া’ নামে প্রবন্ধ পাঠ এবং জীবহিংসা নিবারণ-কল্পে এক পিঞ্জরাপোলের প্রস্তাব করার কথা ছিল, কিন্তু বক্তা বক্তৃতামঞ্চে উঠবার মুখেই তার গোদাপায়ের চাপনে একটা উইঢিপি মায় পিপীলিকা বংশ ধ্বংস হয়ে গেল, শ্বেতহস্তীর সেটা খবরই হল না। কোলাব্যাং কট্‌ কট্‌ করে কু-কথা শুনিয়ে হস্তীর দৃষ্টি এই দুর্ঘটনার দিকে আকর্ষণ করায়, সেই মহাকায় নিকায় পাঠ করে অনুতাপ করতে থাকলেন, কাজেই তার ওই প্রস্তাবহুটোই আর সভাতে উপস্থিত করা হল না । শেষ পরিশেষে বক্তব্য যে, তোতারাম বাবাজী যেমন কইলেন, সম্পাদক সজারু চতুষ্পদীতে তাই লিখে নিলেন। এই রিপোর্ট অবিশ্বাসের কোনো কারণ নেই, কেননা এ জানা কথা যে তোতা— তিনি যা শোনেন তাই আউড়ে যেতে একেবারে পাকা । আর মাছি, তিনি মাছি-মারা কাপি যখন নিয়েছেন, তখন এতে ভুল ভ্রান্তি নাই বললেও চলে । সেই আমাদের ধন্যবাদের পাত্র মাছি ও א"לס