পাতা:অবনীন্দ্র রচনাবলী দ্বিতীয় খণ্ড.djvu/৪০৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

গোদাচিল, সে ছড়াও জানে না পড়াও জানে না, কিন্তু তবু কাকও প্যাচার দিকে চেয়ে গম্ভীরভাবে ঘাড় নাড়ছে দেখে হরবোলা পাখি চিলকে ঠেস দিয়ে বলে উঠল— ‘পণ্ডিতে পণ্ডিতে যুদ্ধ সমস্যা পুরায়, মূখে নাহি বুঝে তাহা জুল-জুল চায়। বহুরূপীর বিশ্বাস ছিল রঙ-তামাসায় তার মতো কেউ নেই, কিন্তু হরবোলা গোদাচিলের সঙ্গে ভালো রঙ করে নিলে দেখে হিংসেতে বেচারা প্রথমে আগাগোড়া রাঙা— তারপর একেবারে নীলবর্ণ হয়ে গেল । এই সময় ধ্যান ভেঙে কচ্ছপ খোলা থেকে মুখটি বার করে বলে উঠলেন– ‘বুঝেচ কিনা, জীবনটা অতি প্রকাণ্ড একটা স্বপ্ন-বিশেষ, এরই জন্যে আবার ঝগড়া-ঝাটি মারামারি । আপনার মধ্যে আপনি একবার তলিয়ে দেখ দেখি,জগৎই বা কী তুমিই বা কে আর— জগৎ স্বপ্ন ও সুষুপ্তি’— বলেই কচ্ছপ ঘুমিয়ে পড়লেন। আকাশ থেকে একদল তালচড়াই কিচমিচ করে বলে উঠল— ‘হেসে খেলে নাওরে জাছ মনের সুখে ! নতুন-পালক-ওঠা পি পড়ে, শোনা যায় না এমন মিহি স্বরে একবার বললে— ‘কবে যাবে তুমি শিঙে ফুকে, তারপরেই সে আকাশে উড়ে পড়ল আর সঙ্গে-সঙ্গেই তার পিপড়েলীলাও সাঙ্গ হল। শুয়ো পোকা এই দেখে বাটা-গোফ ফুলিয়ে আওড়ালে— ‘পিপড়ের পালক ওঠে মরিবার তরে ” এইবার সভার কার্যারম্ভের ঘণ্টা পড়ল। জীব-জন্তু যে যেখানে ছিলেন একে একে গোলচানকাতে এসে তালি দেবার জন্যে ন্যাজ আর বক্তৃতা শোনবার জন্যে কান খাড়া করে বসলেন। সবাই চুপচাপ রয়েছেন, এমন সময় গাধা, তিনি হঠাৎ ‘গোল হচ্ছে বলে চিৎকার করে উঠলেন। একটা কানামাছি ছাড়া গাধার কাছে আর কেউ গোল বাধায় নি, গোলচানকাতে সবাই গোল হয়েই চুপচাপ বসে ছিল। কিন্তু তবু গাধা চোপ, চোপ’ শব্দে আসর সরগরম করে তোলবার চেষ্টা করতে থাকলেন । গাধার বন্ধুবান্ধবরা মিলে তার জন্যে একটা বস্তৃতা লিখে দিয়েছিল, কেবল গলার জোরেই তিনি সবাইকে মাতিয়ে তুলতে পারবেন এই বিশ্বাসে প্রথম বক্তৃতার \9y& च, R-٤ چس "