পাতা:অবনীন্দ্র রচনাবলী দ্বিতীয় খণ্ড.djvu/৪১৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

যাই কোমর বেঁধে লড়ায়ে ! এক হিসেবে মন্দ নয়— লড়ে বেঁচে আসতে পারলে । নয়তো কতকগুলো অনাথ অনাথ নিয়ে না-লড়ার দলকে বড়ো বিপদেই ফেলে যাওয়া হয় । ঘরে ঘরে অনাথ-ভাণ্ডারের চাদার খাতা গিয়ে ভদ্র জীবদের বড়োই বিপদ ঘটায়, কাজে-কাজেই বলতে হচ্ছে পুরোপুরি ভালো নয়, ওতে মন্দও মিশেল আছে, বিশেষ সত্যের জয় যে সব সময় তা নয় । শুয়োর যা বলেছেন তার মধ্যে ভালো-মন্দ দুই আছে, আর বরাহের প্রস্তাব হগসাহেবের বাজারের উন্নতির জন্যে তুলে রাখলে মন্দ হয় না। শুয়োর আর বরাহের কথায় যতই সার থাক না, রাজনীতি-ক্ষেত্রে সেটা কোনো উপকারে আসবে না । কাজেই সকলে দেখছেন শান্তি কিংব; যুদ্ধ, অথবা সিংহের প্রস্তাব-মতে স্বতন্ত্রত অবলম্বন— এ তিনই জাব-সমাজের সবার পক্ষে সমান ফল দেবে না । এ কথা একবাক্যে স্বীকার করতে হবে যে কোথাও একট। গোল আছে এবং সে গোলটা সিধে কর। দরকার (সাধু, সাধু ) । আমি যে উপায় বাংলাব সেট। সম্পূর্ণ নতুন, আর এ পর্যন্ত পশু-সমাজে তার কোনো পরীক্ষ। তয় নি (শোনে। শোনো! চুপ. চুপ! )— এসে, আমরা সকলে জ্ঞানলাভের জন্যে উঠেপড়ে লাগি— কেননা জ্ঞানের তার বিজ্ঞানের পথই হচ্ছে শ্রেষ্ঠ পথ, জ্ঞানাৎপরোতর নহি– মানুষেই এই কথা বলছে । কেনন। আমর। মানবজাতির ইতিহাস থেকে এটা শিখে নেব, জাতীয় মহাসমিতিতে থাকবে, আর থাকবে একটা মুখপত্র যেখানে পরে-পরে আমরা নিজেদের অভাব অভিযোগগুলো জগতে বিশ্বসমাজের সামনে ধরে দিতে পারি, আমাদের আশা, উদ্যম, রীতি-নীতি, ঘরের কথা, বাইরের কথা সবই ছাপার অক্ষরে মুদ্রিত হয়ে সবার হাতে পড়বে। ‘মানুষের মধ্যে যারা প্রাণীতত্ত্ব নিয়ে নাড়াচাড়া করে, তারা মনে করে দু-একটা মরা জানোয়ার নিয়ে ঘাটাঘাটি করে আমাদের হাড়হদ সবই জেনে নেবে, সেটা বড়ো ভুল । জানোয়ারের কথা এক জানোয়ারে লিখতে পারে— কিসে তাদের সুখ, কোথায় তাদের ব্যথা সে কেবল তারাই খুলে বলতে পারে, যাদের সুখ-দুঃখ-আনন্দময় \రివ(