পাতা:অবনীন্দ্র রচনাবলী দ্বিতীয় খণ্ড.djvu/৪৪৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সেই হল হুকুম হাকামের কর্তা সবার যে কী দুঃখে দিন যাচ্ছে বলা যায় না, কিন্তু রাঙা রতা— সে রঙ বদলে বেশ সুখেই আছে । সবাই তার কাছে জোড়-হস্ত ! “সেই সময় রত যদি আরো দিন-কতক নিজের বুদ্ধি না প্রকাশ করে তার পণ্ডিত ছেলেটার কথা-মতো চলত তবে কোনো গোলই হত না । কিন্তু সিংহাসন পেয়ে রতার মাথা গরম হয়ে গেল। সেইসঙ্গে যেটুকু বুদ্ধি মগজে ছিল, সেটুকুও তার গায়ের রঙের মতো বদলে বাকা-চোরা উল্টো-পাল্টা হয়ে রত যা-তা করতে আরম্ভ করলে | “সব জানোয়ারের ল্যাজ থাকবে, কেবল তারই থাকবে না— এটা তার আর সইছে না! তার পণ্ডিত ছেলের উপরই রাগটা বেশি। তারই কথাতেই তো সে ল্যাজ দিয়ে :প্রাণ নিয়ে সরেছিল। এখনো সেই ল্যাজ ফাসি-কাঠে ঝুলছে। সেটাকে নামিয়ে এনে নিজের পিঠে যে জোড়া দেবে তারও উপায় ছেলেট রাখেনি!— নীল গায়ে লাল ল্যাজ মেলানো শক্ত ! যত দোষ হল শেয়ালপণ্ডিতের আর সেই অপরাধে সে রাজ্যের জানোয়ারদের ল্যাজ কেটে ফেলবার হুকুম দিয়ে বসল। -

  • জানোয়ারের দলে সোরগোল পড়ে গেল। সিংহ বেঁকে বসলেন— কিছুতেই ল্যাজ দেব না ! দেখাদেখি বাঘও গো ধরলে— ল্যাজ আপ সে বললে – যাক প্রাণ, থাক্ ল্যাজ ! মোষও চোখ রাঙিয়ে বাঘের কথায় সায় দিলে । ভালুকের ল্যাজ ছিল না বললেই হয়, সে বললে – রাজার হুকুম না মানলে নয়, মুশকিল ! বানর তাকে দাবড়ি দিয়ে বলে উঠল— তোমার চাকরি বজায় রাখতে ল্যাজ কাটতে চাও কাটো, কিন্তু আমরা তোমায় এক-ঘরে করব, মনে থাকে যেন! ভালুক ভয়ে চুপ হয়ে গেল। ভালুক যখন চুপ করলেন, তখন খরগোস, কচ্ছপ, হরিণ— যাদের ল্যাজ নজরেই পড়ে না তারা আর উচ্চবাচ্যই করতে পারলে না ।

“এদিকে রাজার ইস্তাহার জারি হল— পয়লা তারিখে 899