পাতা:অবনীন্দ্র রচনাবলী দ্বিতীয় খণ্ড.djvu/৪৫৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দেয়ালা এক যে ছিল গাছ তার ছিল এক ছাওয়া ; এক যে ছিল মাঠ তার ছিল এক গাছ ; আর এক ছিল, যে কুঁড়ে তার ছিল একটা ঝাপ— সেটা কখনো খুলত কখনো বন্ধ হত। ঝাপ যখন বন্ধ হত তখন ঘরটা কিছুই দেখত না, অন্ধকারে পিতুম জালিয়ে কুঁড়ে নিজের ভিতরটার দিকে চেয়ে চুপ করে বসে থাকতো— পিদুমের আলো ঝিমোতে, ঘরের জিনিস-পত্র ঝিমোতে, ঘরের মধ্যে যে কুঁড়ে মানুষগুলো তারাও ঝিমোত, কিন্তু ঝাপ খুললে আর রক্ষে নেই— পিদুমেব আলো পিলসুজ ছেড়ে দেড় দিত— সেই সে মাঠে যেখানে গাছে আর গাছের ছাওয়াতে কথা চল-চলি করছে। ছাওয়া শুধোচ্ছে গাছকে— ভাই, কী দেখছিস ? ছোটো গাছ সে এদিকে-ওদিকে চায়, চোখেব পাত মেলে আর বলে, মাঠ দেখছি! মাঠের পরে কী ভাই ? মাঠের পরে একটা তালগাছ দাড়িয়ে পাহারা দিচ্ছে। তার পর ?— গাছটা হঠাৎ চুপ করে আর থির হয়ে চেয়ে থাকে ! গাছের ছাওয়া সেও চুপ, চুপ, গল্প শোনবার জন্যে সটান শুয়ে থাকে মাটিতে। ধু ধু মাঠের ধুলো মাটি, খোয়াই-জোড়া রাঙা মাটি, বাধের ধারের পোড়া মাটি— তারা তো চেনে না ছোটো গাছ আর তার এতটুকু ছাওয়াকে, তারা চলে যায় সেই যে তালগাছ আকাশে মাথা তুলে দাড়িয়ে থাকে তার কাছে, আর বলে— দেখলে কিছু ? তালগাছ দাড়িয়েই থাকে— হেলে না, দোলে না বলে নাকিছু। তেপান্তর মাঠ স্তব্ধ হয়ে ভাবে— এত উচু থেকে ও দেখা যায় না ? অবাক হয়ে মাঠ চেয়ে থাকে— খুব উচুতে যে নীল আকাশ তারই "לס8