পাতা:অবনীন্দ্র রচনাবলী দ্বিতীয় খণ্ড.djvu/৪৫৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

গাছ বলে— সেই একটি গাছ তার পরে রয়েছে আলো, না আলো তো নয়, একটা আলো মাখা মেঘ ! •ছায়া বলে— সে আবার কী ? গাছ বলে— তা জানিনে ভাই কিন্তু কালো ঠিক তোর মতো ঠাণ্ড রঙ তার। হঠাৎ ছাওয়ার উপর কু-ফোটা জল পড়ে— । ছাওয়া বলে— ওকি কাদছিস্ কেন ? গাছ মাথা তুলিয়ে বলে– কাদব কেন ? ছাওয়া বলে – এই দেখ-না জল । কুঁড়ে তার ঘরের ঝাপখান ঝুপ করে বন্ধ করে দিয়ে বলে— বিষ্টি রে বিষ্টি । টিপির টিপির জল ঝরে, আকাশ ঝিলিক দিয়ে থেকে-থেকে দেয়ালা করে, বাতাস কবে সাবারাত এপাশ-ওপাশ, তার পর রাত কাটে, সকাল হয়, আকাশ জেগে ওঠে, আলো জেগে ওঠে, গাছপালা জেগে ওঠে, পাখি জেগে ওঠে, সেইসঙ্গে তাদের ছাওয়ারাও জেগে ওঠে । ছোটো গাছের ছাওয়া বলে গাছকে— আজি কী খবর ? গাছ বলে— আজ দেখছি কী জিনিস ? ছাওয়া বলে— কি ? গাছ বলে— সেই আমাদের পাতায় ঢাকা কুঁড়ি আজ ফুটেছে। ছাওয়া বলে— তার পর ? গাছ বলে-প্রজাপতি তাকে দেখতে এল সোনার ডান মেলে । ছায়া বলে— তারপর— ? গাছ বলে— রোদ পড়ল তার গায়ে, বাতাস তাকে তুলিয়ে গেল । ছায়া বলে— ওকে আমায় দে । গাছ বলে— এই নে দেখ, কেমন সুন্দর ফুল । ফুলকে বুকে নিয়ে ছাওয়া বলে— ফুল ফুল কথা কয় না। ছাওয়া গাছকে বলে— ফুল কথা কয় না যে ? 88)