পাতা:অবনীন্দ্র রচনাবলী দ্বিতীয় খণ্ড.djvu/৪৭০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

তোমার কি মানের হানি হবে ? পি পড়েটা আমার কথার জবাবই দিলে না, গোমসা মুখে গট-গট করে অত্যন্ত রাগত ভাবে চলে গেল । পরে জানলুম কেউ মাঝে পড়ে আলাপ-পরিচয় না করিয়ে দিলে এর কারুর সঙ্গে কথা বলা বেদস্তুর মনে করে ভারি চটে । থাকতে থাকতে প্রবাল দ্বীপের ইন্দ্রগোপ কীটের সঙ্গে আমার আলাপ হল। লাল মূর্তি, মস্ত গোফ— তিনি প্রশান্ত মহাসমুদ্রের এক পল রাজত্বের পত্তন দিচ্ছিলেন, এমন সময় মাছ ধরার জাহাজে করে পি পড়েরা ফৌজ পাঠিয়ে তাকে বন্দী করে এনেছে । র্তারই মুখে পিপড়েদের রাজত্বের অনেক খবর পেয়েছি। তিনিই বললেন, পিপড়েদের রাজা তার প্রজাদের হুকুম দিয়েছেন, যেখানে যত প্রবালদ্বীপ সাত সমুদ্র তেরো নদীর মধ্যে দেখা দেবে সেগুলোকে পিপড়ের রাজ্যের সামিল করে নিয়ে এক-একটা উপনিবেশ বসাতে । এটা অতি গোপনীয় খবর – সুতরাং কাউকে যেন বল না হয় । বন্দর থেকে একটু যেই পা বাড়ানো, অমনি একদল নতুন ধরনের পিপড়ে আমাকে এসে ঘেরাও করলে । শুনলুম তার। কাস্টম পিপীলিকা। তাদের কাজ— যে-কেউ এ দেশে পা দেলে তাকে কষ্ট ভোগানো— পোটলা পুটলি খুলে দেখা, চোরাই মাল কিংবা আর-কিছু লুকিয়ে, বিক্রি করতে এখানে আসছে কি ন৷ এরই তদারক করতে গিয়ে এটা-ওটা হারিয়ে দিয়ে নিজের পকেটে পোরা এবং শেষে আবার যার জিনিস তাকেই মাল সরিয়ে ফেলার দরুন দণ্ড করা ও নান ভোগ ভোগানো কাজে বেশ মোটা মাইনে পাচ্ছে এর। এই দেশের এরা নিজেদের ছাড়া জগৎমৃদ্ধকে কী চোখে দেখে তা এদের দেশে পা দেবামাত্র বুঝলেম। সব দেখে শুনে যখন কোনো চোরাই মাল এরা আমার পালঙ্কে তোষকের মধ্যে কিংবা ডানার ভঁাজে কোথাও খুজে পেলে না, তখন এরা জোর করে আমার দুই ঠোট চিরে দেখতে লাগল দূরবীন দিয়ে— গলার মধ্যে করে এদের দেশে আমি লুকিয়ে কিছু আমদানি করেছি কি না। যখন দেখলে আমি খালি চড়াই বই আর কিছু নই, তখন এরা বেশ কিছু 86 ર