পাতা:অবনীন্দ্র রচনাবলী দ্বিতীয় খণ্ড.djvu/৭৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কয়লার মতো একদিকে ঠিকরে পড়ল— সঙ্গে-সঙ্গে গায়েব মূৰ্ছিত হলেন । অনেকক্ষণ পরে গায়েব যখন জেগে উঠলেন, তখন সূর্যদের অন্তর্ধান করেছেন, মাথার কাছে শুধু গায়েী বসে আছে । গায়েব জিজ্ঞাসা করলেন—‘সূর্যদেব কোথায় ? গায়েলী তখন সেই কালে পাথরখানা দেখিয়ে বলল—“ওই নাও ভাই আদিত্যশিল । এই পাথর তুমি যার উপর ফেলবে তার নিশ্চয় মৃত্যু। সূর্যদেব এটি তোমায় দিয়ে গেছেন, আর বলেছেন তুমি তারই ছেলে, আজ থেকে তোমাব নাম হল শিলাদি তা । তোমাব বংশ সূর্যবংশ নাম দিয়ে পুথিলী শাসন করবে, আর তুমি মনে-মনে ডাকলেই ওই সূর্যকৃগু থেকে সাতটা ঘোড়ার পিঠে স্তর্মের রথ তোমাব জন্তে উঠে আসবে ! রথের নাম সপ্তাশ্বরথ । যা ও ভাই, সপ্তাশ্ববথে আদিত্যশিল-হাতে পৃথিবী জয় করে এস। গায়েব বললেন—তোকে কোথা বেখে যাব বে।ণ ” গায়েৰী বললে—“ভাই, তামাকে এই মন্দিরে রেখে যাও, আমি বাগানের ফল, কুণ্ডের জল খেয়ে জীবন কাটাব। তারপর তুমি যখন রাজা হবে, আমায় এই মন্দির থেকে রাজবাড়িতে নিয়ে যেও ' গায়েব মহা আনন্দে গায়েবীকে সেই মন্দিরে বন্ধ রেখে সাত ঘোড়ার রথে পুথিবী জয় করতে চলে গেলেন । আর গায়েবী সেই রাশীকৃত ছাই সূর্যকুণ্ডেব জলে ঢেলে দিয়ে মারে । ভাইবে ? বলে পাষাণের উপর তাছাড় খেয়ে পড়ল । সেদিন গভীর রাত্রে যখন আকাশে তারা ছিল না, পুথিবীতে আলো ছিল না, সেই সময় হঠাৎ সূর্যমন্দির ঝনঝন শব্দে একবার কেঁপে উঠল। তারপর আশি মন কালে পাথরের প্রকাও স্বর্যমূর্তিকে নিয়ে আর ননীর পুতুলের মতো সুন্দরী গায়েবীকে নিয়ে, আধখানা মন্দির ক্রমে মাটিব নিচে চলে যেতে লাগল ! গায়েৰী প্রাণভয়ে পালাবার চেষ্টা করলে। বৃথা চেষ্টা । গাযেব দেয়াল ধরে ওঠবার চেষ্টা করলে, পাথরের দেয়ালে পা রাখা যায় না— や>