গায়েবী ! কোথা গায়েৰী ! শিলাদিত্য মশাল আনতে হুকুম দিলেন ; সেই মশালের আলোয় শিলাদিত্য দেখলেন— উত্তর-দিকটা শূন্ত করে সূর্যমূর্তির সঙ্গে-সঙ্গে মন্দিরের আধখানা যেন পাতালে চলে গেছে ; কেবল কালো পাথরের সাতটা ঘোড়ার মুণ্ডু বাস্তুকির ফণার মতো মাটির উপর জেগে আছে । সে-ঘরে শিলাদিত্য গায়েবীর সঙ্গে খেলা করেছেন, যে-ঘরে সারাদিন খেলার পর দুটি ভাইবোন গুর্জর দেশের গল্প শুনতে-শুনতে মায়ের কোলে ঘুমিয়ে পড়তেন, যেখানে দেবদারু গাছের মতে পিতলের সেই তারিতি প্রদীপ ছিল, সে সকল ঘরের চিহ্নমাত্র নেই । শিলাদি 3্য সেই প্রকাণ্ড গহবরের মুখে দাড়িয়ে ডাকলেন—‘গায়েৰী ! গায়েবী।’ তাব সেই করুণ স্থর, সেই অন্ধকার গহববে ঘুবে ফিবে ক্রমে দূব থেকে দূরে পাতালের মুখে চলে গেল । গায়েব নি.শ্ব স ফেলে বাজমন্দিরে ফিরে এলেন । সেইদিন রাজ-আজ্ঞায় রাজ-কর্মকাবের পুরু সোনার পাত দিয়ে সেই পকাণ্ড মন্দির তাগাগোড়। মৃড়ে দিতে লাগল। শিলাদিত্য সে-মন্দিবে তার অন্যমূতি প্রতিষ্ঠা কবলেন না । সেই অন্ধকার গহবর থেকে সূর্যের ঘে"ড় গুলি যেমন তাধিখানা জেগেছিল, তেমনি রইল । তারপব শিলাদিত্য পাহাড় কেটে শ্বেতপাথর তানিয়ে সূর্যকুণ্ডেব চারিদিক সুন্দব করে বঁপিয়ে দিলেন । যখনি কোনো যুদ্ধ উপস্থিত হয, শিলাদিত্য সেই স্বৰ্মকুণ্ডেব তীরে সূর্যের উপাসন কবতেন ; তখনি তার জন্য সপ্তাশ্বরথ জল থেকে উঠে আসত। শিলাদিত্য সেই রথে যখন যে যুদ্ধে গিয়েছেন, সেই যুদ্ধেই তার জয় হয়েছে । শেষে একজন বিশ্বাসঘাতক মন্ত্রী মাকে তিনি সব চেয়ে বিশ্বাস করতেন, সব চেয়ে ভালোবাসতেন, সে-ই তার সর্বনাশ করলে। সেই মন্ত্রী ছাড়া পৃথিবীতে কেউ জানত না যে, শিলাদিত্যের জন্য সূর্যকুণ্ড থেকে সপ্তাশ্বরথ উঠে আসে। সিন্ধুপারে শু্যামনগর থেকে পারদ নামে অসভ্য একদল যবন যখন বল্লভপুব আক্রমণ করলে, তখন সেই বিশ্বাসঘাতক, তুচ্ছ পয়সার লোভে সেই অসভ্যদের সঙ্গে যড়যন্ত্র করে, গো-রক্তে সেই পবিত্র কুণ্ড VHථ
পাতা:অবনীন্দ্র রচনাবলী দ্বিতীয় খণ্ড.djvu/৭৫
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।
