পাতা:অবনীন্দ্র রচনাবলী প্রথম খণ্ড.djvu/১২৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

তখন রবিকাকাও বললেন, ও তুমি অমুক, আমি চিনতেই পারি নি তোমাকে । বেচারি পাড়াগেয়ে সাহেবটি কাচুমাচু হয়ে যায় আর কি। ট্রেন ছাড়ল, গল্পগুজবে মশগুল হয়ে মহা আনন্দে সবাই বাড়ি ফিরে এলুম। এইভাবে আমাদের বাংলা ভাষার বিজয়যাত্র আমরা শেষ করলুম। وا! এইবাবে হিন্দুমেলার গল্প বলি শোনো। একটা ন্যাশনাল স্পিরিট কী করে তখন জেগেছিল জানি নে, কিন্তু চার দিকেই ন্যাশনাল ভাবের ঢেউ উঠেছিল । এটা হচ্ছে আমার জ্যাঠামশায়দের আমলের, লাবামশায় তপন ছোটে । নবগোপাল মিত্তির আসতেন, সবাই বলতেন ন্যাশনাল নলগোপাল, তিনিই সর্বপ্রথম ন্যাশনাল কথাটার প্রচলন কবেন। তিনিই চাদ তুলে হিন্দুমেলা শুরু করেন। তখনে ন্যাশনাল কথাটার চল হয় নি। হিন্দুমেলা হবে, মেজেজ্যাঠামশায় এান তৈরি করলেন মিলে সবে ভারতসন্তান একতান মনপ্রাণ, গাও ভারতের যশোগান । এই চল তপনকার জাতীয় স-গীত ! আব-একটা গান গাওয়া হত সে গানটি তৈরি কবেছিলেন বড়োজ্যাঠামশায়-- মলিন মুখচন্দ্রমা ভারত, তোমারি— রাত্রিদিবা ঝরে লোচনবারি । এই গানটি বোধহয় রবিকাকাই গেয়েছিলেন হিন্দুমেলাতে . এই হল আমাদের আমলেব সকাল হবার পূবেকার গুর , যেন হুর্যোদয় হবার আগে ভোরের পাখি ডেকে উঠল । আমরাও ছেলেবেলায় এই-সব গান খুব গাইতুম | বড়োজ্যাঠামশায়ের তপনকার দিনের লেখা চিঠিতে দেখেছি, এই নবগোপাল মিত্তিরের কথা । তিনিই উদ্যোগ করে চিন্দ্বমল করেন । গুপ্তবৃন্দাবনের বাগানে হিন্দুমেলা হত। নামটা অদ্ভূত, শুনে গোজ করে জানলুম, বাগানটার নামে একটা মজার গল্প চলিত আছে । পূর্বকালে পাথুরেঘাটার ঠাকুর-বংশেরই একজন কেউ ছিলেন বাগানের . t