পাতা:অবনীন্দ্র রচনাবলী প্রথম খণ্ড.djvu/১৫৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অভ্যাগত আরো অনেকেই ছিলেন– শ্রীযুক্ত উমাদাস বন্দ্যোপাধ্যায়, শ্রীযুক্ত সতীশরঞ্জন দাস, শ্রীযুক্ত মনোমোহন ঘোষ, শ্রীযুক্ত মহিমচন্দ্র বর্ম, শ্রীযুক্ত করুণাচন্দ্র সেন, শ্রীযুক্ত নীরজনাথ মুখোপাধ্যায়। এর অনেকেই নিমন্ত্রিত হিসেবে আসতেন। খাস মজলিসে আহারও আমাদের এক-এক বার এক-এক ভাবে সাজিয়ে দেওয়া হত। কোনো বার ফিরাসে বসিয়া প্লেটপাত্রে মোগলাই খানা, কখনো ‘টেবিলে জলপান, কোনো বার বা ‘সাদাসিদে বাংলা জলপান । এই খামখেয়ালীর যুগে আমাদের বেশ একটা আর্টের কালচার চলছিল। নিমন্ত্রণপত্রও বেশ মজার ছিল। একটা স্লেট ছিল, সেটা পরে দারোয়ানরা নিয়ে রামনাম লিখত, সেই স্লেটটিতে রবিকাকা প্রত্যেক বারে কবিতা লিখে দিতেন, সেইটি সভার সভ্য ও অভ্যাগতদের বাড়ি বাড়ি ঘুরত। ওই ছিল খামখেয়ালীর নেমস্তন্ন পত্র। নেমস্তম্নের কয়েকটি কবিতা এখনো আমার মনে আছে । প্রাৰণ মাসের ১৩ তারিখ শনিবার সন্ধ্যাবেলা সাড়ে সাত ঘটিকায় খামখেয়ালীর মেলা। সত্যগণ জোড়ার্সাকোয় করেন অবরোহণ বিনয়বাক্যে নিৰেদ্বিছে শ্রীরজনীমোহন । আর-একবার ছিল-- এ থেকেই বুঝতে পারবে আমাদের খাস-মজলিসে কী কী কাজ হত— শুন সভ্যগণ যে যেখানে থাকে1, সভা খামখেয়াল স্থান জোড়াসাকো । বার রবিবার রাত সাড়ে সাত, নিমন্ত্রণকর্তা সমরেন্দ্রনাথ। তিনটি বিষয় যত্নে পরিহার্য— দাঙ্গ ভূমিকম্প, পুণ-হত্যাকার্য। এই অনুরোধ রেখে খামখেয়ালী, সভাস্থলে এসে ঠিক punctually। আরো সব বেড়ে মজার কবিতা ছিল— S88