পাতা:অবনীন্দ্র রচনাবলী প্রথম খণ্ড.djvu/১৬৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

উপরে দোতলার ছাদে ‘সাপার হবে, কত য়কমের খাবারের আয়োজন, বরফের পাহাড় হয়ে গেছে। মেজোজ্যাঠামশায়, জ্যোতিকাকা, সারদা পিসেমশায় তারা সব রইলেন অতিথিদের খাওয়া দেখাশোনার ভার নিয়ে, রবিকাকা রইলেন আমাদের নিয়ে । অভিনয়ের দিন এল ; সব-কিছু তৈরি, নিতুল স্টেজ ম্যানেজার, আমাদের সাজসজ তৈরি, কাবুলী ইজের পর, কোথায়ও না গা দেখা যায়, একেবারে নতুন সাজ। লম্ব জোব্বা-টোকা পরে রবিকাকাও তৈরি, গলায় চেনে বাধ৷ শঙ্খ ঝুলছে, শৃঙ্গবাদন করে ডাকাত ডাকবেন, সব ঠিকঠাক। অতিথিঅভ্যাগতরাও এসেছেন সৰ । অভিনয় শুরু করবার সময় হল । আমাদের যে বুক একটু দুরদ্ধর না করেছে এমন নয়। রবিকাকাও যেমন একটু উত্তেজিত হয়ে পড়েন এ-সব ব্যাপারে, আমাকে বললেন, দেখে তো কেমন লোকজন হয়েছে বাইরে । আমি তো কাচুমাচু করছি, কী দরকার দেখবার, হয়তে ঘাবড়ে যাব। রবিকাকা বলছেন, আঃ, দেখোই না পর্দাটা একটু ফাক করে, কী রকম লোকজনের ভিড় হয়েছে দেখো । স্টেজের ভিতর থেকেই এ-সব কথা হচ্ছে আমাদের । আমি আর কী করি, পর্দাটা আস্তে আস্তে একটু ফাক করে দেখি কী, ওরে বাবা । টাকে টাকে সারা উঠোন ভরে গেছে যে । যত সব সাহেবদের শাদী শাদা মাথা এেকেবারে চকচক করছে। বুক দুরুদুরু করতে লাগল। আমি বললুম, এ না দেখলেই ভালো হত রবি কাঁক । রবিকাকাও বললেন, তাই তো । এ দিকে সময় হয়ে গেছে, আশু চৌধুরী উইংসের এক পাশে প্রোগ্রাম হাতে দাড়িয়ে, পিয়ানো হারমোনিয়াম নিয়ে জোতিকাকামশায়, বিবি বসে, সিন উঠলেই বাজাতে শুরু করবেন। প্রথম সিনে ছিল সবার আগে ডাকাতের সর্দার অক্ষয়বাবু এক পাশ থেকে একটা হুংকার দিয়ে স্টেজে ঢুকবেন । পিছু পিছু দ্বিতীয় ডাকাত আমি, এই দুটি কমিক দস্থ্য, পরে একে-একে অন্ত ডাকাতর ঢুকবে। সব ঠিক ; ঘণ্টা বাজল, বনদেবীর ঘুরে ঘুরে গান করে গেল । সিন উঠল। এখন অক্ষয়বাবুর পাল, তিনি কেন জানি না, পাশ থেকে স্টেজ না চুকে ও-পাশ দিয়ে ঘুরে মাঝখান দিয়ে ভিতর থেকে রী-রে-রে’ 3 * *