পাতা:অবনীন্দ্র রচনাবলী প্রথম খণ্ড.djvu/১৬৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

उब्रlवांशग्न बांश् छांशद्र R শূত মন্দির মোর। ‘গঙ্গার ধারে, জ্যোতিকাকামশায় হারমোনিয়াম বাজাচ্ছেন, প্রথম সেই গান শুনলুম, সে-স্থর এখনো কানে লেগে রয়েছে। কী চমৎকার লাগল। গান হতে হতে সদ্ধে হল, মেঘ উঠল। গঙ্গার উপর কোন্নগরী মেঘ। নতুনকাকীমা বললেন, ‘আর না, এবারে ছেলেদের নিয়ে রওনা দাও।” ঘোড়ার গাড়িতে আসতে আসতে কী ঝড়, কী বৃষ্টি। চেরেট গাড়ি, নতুন রকমের। আমরা কটি ছেলে, বাবামশায় আর বড়োপিসেমশায় । গাড়িটা ছিল কতকটা টঙ্গা গোছের। গ্রাণ্ড ট্রাঙ্ক রোডে মড়মড় করে একটা ডাল ভেঙে পড়ল গাড়ির সামনে । ওটা গাড়ির ওপর পড়লে ব্লবিকাকার গান শোনা সেই প্রথম এবং শেষ হত আর আমারও গল্প বলা ওইখানেই থেমে যেত। বাল্যকালে যখন স্করবোধ হয় নি, তখন সেই গান শুনে ভালো লেগেছিল। ‘ভরা বাদর’ গাইবার সঙ্গে সঙ্গে স্বরের বর্ষার সঙ্গে সত্যিকার বর্ষা নামল । সেদিন আর ফিরবে না । তার পর গানের পর গান শুনেছি, সেই প্রথম দিন থেকে আজ পর্যন্ত ওঁর কত গানই শুনেছি। যৌবনের পাখি চলে গেছে, আর-এক পাৰি এসেছে। তিনি লিখেছেন— আমি চলে যাব, নতুন পাখি আসবে। কিন্তু নতুন পাখি আর আসবে না । একলা মানুষের কণ্ঠে হাজার পাখির গান। আমার এখনো মনে হয় তার সব রচনার মধ্যে— লেখাই বলে, ছবিই বলে– সব চেয়ে বড়ো হচ্ছে র্তার গানের দান। কথার সঙ্গে স্থর রবিকাকার মতো কেউ মেলাতে পারে নি। ব্রহ্মসংগীতের সবগুলো স্বর ওঁর নিজস্ব স্বর নয়। ‘মায়ার খেলা’র মতো অপেরা আর হয় নি। আমি সেদিন রখীকে বলেছিলুম, মায়ার খেলা কর-না আরএকবার। রথী বললে, ‘লোকে বলে ওতে কেবলই লভ্য। আমি বললুম, ‘ও-রকম লোক তোমাদের দলে যদি কেউ থাকে তাকে বিদেয় করে দিয়ে।’ “স্বায়ার খেলা’য় তিনি প্রথম স্বরকে পেলেন, কথাকেও পেলেন। বোধ হয় “সখিসমিতি’র সাহায্যার্থে ওটি রচিত হয়, ওতে র্তার নিজের কথার সঙ্গে স্বরের পরিণয় অদ্ভুত স্থম্পষ্ট হয়ে উঠেছে। ওখানে একেবারে ওঁর নিজস্ব স্বর। অপেরা জগতে ওটি একটি অমূল্য জিনিস। কিন্তু হায়, যে ও সব গান গাইবে > Goo