পাতা:অবনীন্দ্র রচনাবলী প্রথম খণ্ড.djvu/১৮৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

তাই তো, এখন উপায়। বললুম, স্টেজের মাপ নিয়ে যাও — বড়ে বড়ে পিস্বোর্ড কিনে এনে কাঠের ফ্রেমের উপর লাগিয়ে দাও। অভিনয় হবে সন্ধেতে – সকালে এই-সব কাণ্ড হচ্ছে। প্রোসিনিয়াম ( Proscenium ) ঠিক না হলে তো হবে না। নন্দলালকে বললুম, আজ আর এবেল বাড়ি যাব না – এখানেই আমাকে একটু তামাক-টামাকের বন্দোবস্ত করে দাও । দোকান থেকে পিবোর্ড এল, কাঠের ফ্রেমে লাগানো হল। বললুম, বেশ করে গোলাপি রঙ খানিকটা গুলে দাও । বড়ো বড়ো তুলি দিয়ে সেই রঙ পিবোর্ডের উপর লাগিয়ে দিয়ে স্বরেনকে বললুম, এবারে এদিক-ওদিকে কিছু লাইন কাটে। চমৎকার গোলাপি পাথরের প্রোসিনিয়াম তৈরি হয়ে গেল। আমি বললুম, বাঃ, দেখে তো এবার। কাদা দিলে তার উপরও আঁকা চলত বটে কিন্তু সাত দিনেও শুকোত না । - বাড়ি ফিরে এলুম – ওদিকে তে ওই-সব হচ্ছে – বাস্থদেব দেখি মুগ্ধ শুকিয়ে ঘোরাঘুবি করছে। আমি রবিকাকাকে গিয়ে বললুম, আচ্ছ। বামুদেব তো ভালোই নাচে, তবে ওকে তোমরা এবারে নাচতে দিচ্ছ না কেন । রবিকাকা বললেনpনা, ও যেন কী রকম নাচে, এদের সঙ্গে মেলে না – আর ও যা কালো, স্টেজে মানাবে না । আমি বললুম, আচ্ছা আমার হাতে ছেড়ে দাও এক পত্তিরের জন্য। আশা করে এসেছে, আমি সাজিয়ে দিই – যদি ভালো না লাগে পরে নাকচ করে দিয়ে । রবিকাকার তো মত নিয়ে এলুম। আমাদের ছেলেবেলায় সেই ‘বাল্মীকিপ্রতিভা দেখবার দরবার মনে পড়ল । বাস্থদেবকে বললুম, দরবার মঞ্জুর হয়ে গেছে, ঠিক তিনটের সময় আমাকে খবর দিয়ে – আমি তোমাকে সাজিয়ে দেব। সে তো খুব খুশি । ইতিমধ্যে আমি খাওয়াদাওয়া করে বিশ্রাম করে উঠতে তিনটার সময় বাস্থদেব এল। বাসুদেবকে নিয়ে গেলুম যেখানে নন্দলাল সবাইকে সাজাচ্ছে। সবার সাজ তৈরি। নন্দলাল আমাকে বললে, তা হলে বাস্থদেবকে একটু হলদে রঙটঙ মাখিয়ে দিই। S\ునా