পাতা:অবনীন্দ্র রচনাবলী প্রথম খণ্ড.djvu/২৫৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

এমন সময় একদিন ফেলাবতী এসে হাজির। কোথা থেকে উঠে এল এতটুকুন মেয়েটি, নেড়াভোলা চেহারা ; বললুম, কে তুই ? ‘আমি ফেলা।’ "ও, ফেলা, তা এসো।’ দেখে বড়ো আনন্দ হল। যখন ফেলে-দেওয়া জিনিস নিয়ে খাটাঘাটি করছি, নতুন রূপ দিচ্ছি, তখন এল ফেলাবতী আমার । বললুম, কোথেকে আসিস ? ঘর কোথায় ? বললে, "এই এখান থেকেই।’ বলে রাস্তার মোড়ের দিকটা দেখালে! ‘কে আছে তোর ? ‘মা আছে।’ ‘কী নাম ? 'কৌমুদী। ‘বাপের নাম কী ? ‘বসন্ত ।” ভাবছি, এ কোন ফুেল এল । মনে হল না— সে মানুষ । বললুম, ‘কী চাই তোর ? ‘আমি এখানে বসে খেলা করি নে একটু ? ‘তা বেশ তে, কুর তুই খেলা। বলি, ফেলা, একটা সন্দেশ খাবি ?

  • ‘তা খাব।”

রাধুকে বলি, রাধু, আমার ফেলার জন্যে সন্দেশ নিয়ে আয় একটা । সে মুখ বাকিয়ে চলে যায়। একটা সন্দেশ আর মাটির গেলাসে জল এনে দেয়। ফেলা সন্দেশ খেয়ে জল খেয়ে গেলাসটি এক কোনায় রেখে দেয়। বলি, “কেমন লাগল ? ফেলা বলে, “তোমাদের সন্দেশ কেমন আঠা-আঠা, গলায় লেগে যায় । ম৷ খাওয়ায় কটুকটে সন্দেশ, সে আরো ভালো।’ ‘তা বেশ ।” এমনি রোজ আসে সে, সন্দেশ খাইয়ে ভাবসাব করি। সে এক পাশে বসে খেলে, আমিও খেলি । ভাঙা কাঠকুটাে মুড়ি দিই। সে বসে তাই দিয়ে খেলা করে। পাশের একটা টেবিলে পুতুল গড়ে গড়ে রাখি। ૨8૨