পাতা:অবনীন্দ্র রচনাবলী প্রথম খণ্ড.djvu/২৬২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

এইখানেই ধুয়ে ফেলে। শেষ পেয়ালার ফোট ফোট তলানিটুকু, সেখানেই সব রস জমা হয়ে আছে। যত শেষের দিকে যাবে তত রস । চীনের বেশ উপমা দেয় তাদের চায়ের সঙ্গে বলে, চ তিন রকম। প্রথম জালের চী ঢাললে, ছোটো ছেলের খাবে— পাতল চা সোনার বর্ণ, তাতে একটু দুধ, একটু চিনি। দ্বিতীয় জাল, তখন সেটা ফুটছে, রঙ আগের চেয়ে একটু ঘন হয়ে এসেছে— তা প্রৌঢ়দের জন্য। আর তৃতীয় জাল, তলায় যে চা রয়েছে অল্প জল আর চায়ের কাথ, এই-ষে শেষ পেয়াল, এ সবার জন্য নয় । যাদের বয়েস হয়েছে, সুখ-দুঃখ তিক্ত-মিষ্টের রস সত্যি উপভোগ করতে পারে, এ শুধু তাদের জন্যই। কালি কলম্ব মন ८ञएथ छिनछन । ছবিটি আঁকি, তুলিটি জলে ডোবাই, রঙে ডোবাই, মনে ডোবাই, তবে লিখি ছবিটি। সেই ছবিই হয় মাস্টারপিস । অবিপ্তি, সব ছবি আঁকতে যে এভাবে চলি তা নয়। জলে ডুবিয়ে রঙে ডুবিয়ে অনেক ছবির কাজ সেবে দিই, মন পড়ে থাকল বাদ । এমনি ছবি একটা একে যদি ছিড়ে ফেলতে যাই, তোমরা খপ করে হাত থেকে তা ছিনিয়ে নিয়ে পালাও । ঠকে যাও জেনে | আমি যৌবনে দেশী সংগীতের স্বর ধরতে চেয়েছিলেম, হাতের আঙুলের ডগায় স্বর এসেওছিল ; কিন্তু মনে তো পৌছয় নি। ব্যর্থ হয়ে গেল আমার সকল পরিশ্রম, সকল সংগীতচর্চা— এক-একবার এই মনে করি। কিন্তু চিত্রকর হয়ে চিত্রকর্মে যেদিন প্রথম শিক্ষ। শুরু করলেম সেই কালের একটা ঘটনা বুঝিয়ে দিয়েছিল, মন আমার স্বর সংগ্রহ করতে একেবারেই উদাসীন ছিল না । তখন কলকাতায় ওয়েলসলি পার্কের কাছে মাদ্রাসা কলেজ, সামনে একটা দিঘি, তার পারে ইটালিয়ান আর্টস্ট গিলাডি সাহেবের বাসা । তার কাছে রোজ সকালে যাই, দস্তুরমত দক্ষিণ দিয়ে প্যাস্টেল ডুইং আর অয়েলপেটিং শিখি। বেশ ঘরের লোকের মতোই আমার সঙ্গে ব্যবহার করেন সাহেব। স্টুডিয়োর এক দিকে আমি বসে ছবি আঁকি, অন্য দিকে তার মেম ছেলেকে দুধ খাওয়াচ্ছেন। ૨8૯