পাতা:অবনীন্দ্র রচনাবলী প্রথম খণ্ড.djvu/২৯৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

খণ্ডিরানী বেঁচে ; বুড়ি হয়ে গিয়েছিল। পাশ দিয়ে যেতে পাণ্ডারা দেখাত এই খণ্ডিরানীর বাড়ী ! চলন্ত বিষ্ণুর খণ্ডিরানী কালে কালে বুড়ি হয়ে গেল। কিন্তু আমার খণ্ডিরাধা ? কালে কালে তার রূপ খুলছেই। こ°C) ধ্যানধারণা, পুজো-আর্চা, সে আমি কোনদিন করি নে। বড়দিকে দেখতুম, মুসোরি পাহাড়ে শাশি বন্ধ করে বসেছেন, কুটনো বাটন করাচ্ছেন আর বসে বসে মালা টপকাচ্ছেন ; আবার রাস্তা দিয়ে কেউ গেলে ডেকে তার খোজখবরও নিচ্ছেন। আমি সকালবেল উঠে বেরিয়ে ফিরতুম। কতদিন তিনি আমায় তাড়া লাগাতেন, ‘বসে ভগবানের নাম করবে খানিক, তা নয়, কোথায় ঘুরে ঘুরে বেড়াচ্ছ সকাল থেকে ? হেসে বলতুম, ‘ও বড়দি, এ দিকে যে কত মজার মজার জিনিস সব দেখে এলুম আমি । কেমন স্বন্দর পাখিটি ঝোপের ধীরে বসে ছিল, ঘরে বসে নাম জপলে কি দেখতে পেতুম তা ?’ উলটে বড়দি মাল৷ টপকাতে টপকাতে আরো খানিকটা বকুনি দিয়ে চলতেন । ধ্যানধারণা কেন করি নে জান ? একবার কী হল বলি। এখন আর ডাক্তারদের আমার লিভার ছুতে দিই নে। বলি, ও আমার ঠিক আছে । আর যা করতে হয় করে, লিভারে হাত দিত্বে পারবে না।’ তা, সেইবারে কোথাও কিছু না হঠাৎ লিভারে দারুণ যন্ত্রণা। সে কী যন্ত্রণা! লিভার থেকে বুক অবধি যেন অগ্নিশূল বিধছে। সেই অসহ যন্ত্রণায় ছট্‌ফট্‌ করতে করতে শেষটায় বেহুশ হয়ে পড়ি। তিন-চারজন ডাক্তার চিকিৎসা করছেন। সকালের দিকে ভালো থাকি, বিকেলে ব্যথা শুরু হয়। ব্যথা শুরু হবে এই ভয়েই আমি আরো অস্থির হয়ে পড়ি বেশি। বিকেল হবার সঙ্গে সঙ্গে আমারও আতঙ্ক আরম্ভ হয়, এই বুঝি উঠল ব্যথা। যেন স্টেশনে জানান দিলে, এবারে ট্রেন আসছে বলে । একদিন সকাল থেকেই ব্যথা শুরু হয়েছে, যন্ত্রণায় অত্যন্ত কাতর হয়ে পড়েছি, ছেলেমানুষদের মতো চীৎকার করছি ‘গেলুম গেলুম। করুণা, নেলি, ওরা এসে জড়িয়ে ধরলে, আর বুঝি বাচি নে এমন অবস্থা। তিন-তিনটে মরফিয়া ইনজেকশন দিলে ডাক্তররা, একট। সকালবেল, একটা দুপুরে, আর-একটা রাত দশটায় । ডাক্তারদের বললুম, আর যা হোক একটি ঘুম পাড়িয়ে দিন আমায়, পারছি নে সইতে।” ডাক্তাররা ভেবে মরেন טאר S