পাতা:অবনীন্দ্র রচনাবলী প্রথম খণ্ড.djvu/৩০৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দিতেন। অজন্তায় তো তিনিই পাঠালেন নন্দলালকে। একদিন আমায় নিবেদিত বললেন, ‘অজস্তায় মিসেস হ্যারিংহাম এসেছে। তুমিও তোমার ছাত্রদের পাঠিয়ে দাও, তার কাজে সাহায্য করবে। দু পক্ষেরই উপকার হবে। আমি চিঠি লিখে সব ঠিক করে দিচ্ছি।’ বললুম, “আচ্ছা। নিবেদিত। তখন মিসেস হ্যারিংহামকে চিঠি লিখে দিলেন। উত্তরে মিসেস হ্যারিহাম জানালেন, বোম্বে থেকে তিনি আর্টিস্ট পেয়েছেন তার কাজে সাহায্য করবার। এরা সব নতুন আর্টিস্ট, জানেন না কাউকে, ইত্যাদি ইত্যাদি। নিবেদিতা ছেড়ে দেবার মেয়ে নন। . বুঝেছিলেন এতে করে নন্দলালদের উপকার হবে। যে করে হোক পাঠাবেনই তাদের। আবার তাকে চিঠি লিখলেন। আমায় বললেন, ‘খরচপত্তর সব দিয়ে এদের পাঠিয়ে দাও অজস্তায় । এরকম সুযোগ ছেড়ে দেওয়া চলবে না। নিবেদিত যখন বুঝেছেন এতে নন্দলালের ভালো হবে, আমিও তাই মেনে নিয়ে সমস্ত খরচপত্তর দিয়ে নন্দলালদের ক'জনকে পাঠিয়ে দিলুম অজন্তায় । পাঠিয়ে দিয়ে তখন আমার ভাবনা। কী জানি, পরের ছেলে, পাহাড়ে জঙ্গলে পাঠিয়ে দিলুম, যদি কিছু হয়। মনে আর শান্তি পাই নে, গেলুম আবার নিবেদিতায় কাছে। বললুম, ‘সেখানে ওদের খাওয়াদাওয়াই বা কী হচ্ছে, রান্নার লোক নেই সঙ্গে, ছেলেমানুষ সব। নিবেদিতা বললেন, “আচ্ছা, আমি সব বন্দোবস্ত করে দিচ্ছি।’ ৰ’লে গণেন মহারাজকে ডাকিয়ে আনলেন। ডাল চাল তেল তুন ময়দা ঘি আর একজন রাধুনি সঙ্গে দিয়ে, বিলিব্যবস্থা করে, গণেনকে পাঠিয়ে দিলেন নন্দলালের কাছে। তবে নিশ্চিন্ত হই । - নিবেদিত। নইলে নন্দলালদের যাওয়া হত না অজস্তায় । কী চমৎকার মেয়ে ছিলেন তিনি। প্রথম তার সঙ্গে আমার দেখা হয় আমেরিকান কনসলের বাড়িতে। ওকাকুরীকে রিসেপশন দিয়েছিল, তাতে নিবেদিতাও এসেছিলেন। গলা থেকে পা পর্যন্ত নেমে গেছে শাদা ঘাঁগরা, গলায় ছোট ছোট্ট রুদ্রাক্ষের এক ছড়া মালা ; ঠিক যেন সাদা পাথরের গড়া তপস্বিনীর মূতি একটি। যেমন ওয়াকুর এক দিকে, তেমনি নিবেদিতা আর-এক দিকে । মনে হল যেন দুই কেন্দ্র থেকে দুটি তার এসে মিলেছে। সে যে কী দেখলুম কী করে বোঝাই । আর-একবার দেখেছিলুম তাকে :আর্ট সোসাইটির এক পাটি, জাস্ট্রিস ۹ میجی ها