পাতা:অবনীন্দ্র রচনাবলী প্রথম খণ্ড.djvu/৩০৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ছবিখানি বগলদাবী করে চলে গেলেন। ছবিখানি থাকলে বুঝতে পারতে সৌন্দর্যের পরাকাষ্ঠ কাকে বলে। সাজগোজ ছিল না, পাহাড়ের উপর চাদের আলো পড়লে যেমন হয় তেমনি ধীর স্থির মূর্তি র্তার। তার কাছে গিয়ে কথা কইলে মনে বল পাওয়া যেত। বিবেকানন্দকেও দেখেছি। কর্তাদাদামশায়ের কাছে আসতেন। দীপুদার সহপাঠী ছিলেন ; ‘কী হে নরেন’ বলে তিনি কথা বলতেন। বিবেকানন্দের বক্তৃতা শোনবার ভাগ্য হয় নি আমার, তার চেহার দেখেছি ; কিন্তু আমারু মনে হয় নিবেদিতার কাছে লাগে না । নিবেদিতার কী একটা মহিমা ছিল ; কী করে বোঝাই সে কেমন চেহার। দুটি যে দেখি নে আর, উপম৷ দেব কণী । শিল্পের পথে চলতে চলতে ভালো-মন্দ জ্ঞানী-মূর্থ অনেকের সংস্পর্শেই এসেছি । সইতে হয়েছে অনেক কিছু। বলি এক ঘটন। লাটবন্ধুও আসত যেমন, রাজবন্ধুও আসত অনেক। রবিক জাপান থেকে ‘অন্ধ ভিখিরী’ ছবি আনলেন ; নামকর শিল্পীর আঁকা, মস্ত সিন্ধে। কী ছবির কারুকাজ, প্রতিটি চুলের কী টান, দেখলে অবাক হয়ে যেতে হয়। বিচিত্র হলে টাঙানো হল সেই ছবি। এখন এক রাজবন্ধু এসেছেন দেখতে ; শিল্পের সমজদার বলে নাম আৰ্ছে"ার। আমার দুবুদ্ধি, তাকে বোঝাতে গেছি জাপানি শিল্পীর তুলির টানের বাহাদুরি, কী করে একটি টানে একটি চুল একেছে। রাজবন্ধু চোখ বুজে ভাবলেন খানিক, ভেবে বললেন, ‘অবনীবাবু, আমি দেখেছি গাড়ির চাকায় যারা লাইন টানে তারা ৪ এর চেয়ে স্থম্ম লাইন টানে।’ শুনে আমার একেবারে বাকৃরোধ। এমন ধাক্কা আমি কখনো পাই নি। দেখেছি ইউরোপীয়ানর ঢের বেশি ছবি বুঝত, রস পেত, দু-এক কথাতেই বোঝা যেত তা । রাজবন্ধু তে ওই কথা বললেন, অথচ দেখে একটা সামান্য লোকের কথা। ওরিয়েন্টাল সোসাইটির একৃজিবিশন হচ্ছে কর্পোরেশন ষ্ট্রীটের একতলা ঘরে। ভালো ভালো ছবি সব টাঙানো হয়েছে—লাটবেলাট, সাহেবস্থবো, বাৰুভায়া, কেরানি, ছাত্র, মাস্টার, পণ্ডিত, সব ঘুরে ঘুরে দেখছেন। আমিও ঘুরছি বন্ধুদের সঙ্গে। কয়েকটি পাঞ্জাবি ট্যাক্সি ড্রাইভার রাস্তা থেকে উঠে এসে ঘুরে ঘুরে ছবি দেখতে লাগল। আমাদের ড্রাইভারটাও ছিল সেইসঙ্গে । ९b*** כלל כ"זס