পাতা:অবনীন্দ্র রচনাবলী প্রথম খণ্ড.djvu/৩১৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বলেছিলেন, ছবির দিকে এর ভবিষ্যৎ খুব উজ্জল। আমি কোথায় বেরিয়ে গিয়েছিলুম, বাড়িতে ছিলুম না, ফিরে এসে শুনলুম বাড়ির লোকের মুখে । প্যাস্টেলে হাত পাকল ; মনও বেগড়াতে আরম্ভ করল, শুধু প্যাস্টেল আর ভালো লাগে না । ভাবলুম, ভালো করে অয়েলপেটিং শিখতে হবে। ধরলুম এক ইংরেজ আর্টিস্টকে । নাম সি. এল. পামার। র্তার কাছে যাই, পয়সা খরচ করে খাস বিলেতি গোরা মডেল আনি, মানুষ আঁকতে শিখি । একদিন এক গোরাকে নিয়ে এল আমার চাপরাসি স্টুডিয়োতে মডেল হবার জন্যে। সে এসেই তড়বড় করে তার গায়ের জামা সব কটা খুলে প্যান্টও খুলতে যায়। চেচিয়ে উঠলুম, হা হা, কর কী। প্যাণ্ট তোমার আর খুলতে হবে না।’ প্যান্ট খুলবেই সে ; বলে, ‘তী নইলে তোমরা আমাকে কম টাকা দেবে।’ পামারকে বললুম, সাহেব, তুমি বুঝিয়ে বলে, টাকা ঠিকই দেব। প্যাণ্ট যেন না খুলে ফেলে, ওর খালি গাই যথেষ্ট। সাহেব শেষে তাকে বুঝিয়ে শাস্ত করে। আর একবার এক অ্যাংলো-ইণ্ডিয়ান মেম এল মডেল হতে, তার পোট্রেট আঁকলুম। মেম ত দেখে টাকার বদলে সেই ছবিখানাই চেয়ে বসলে ; বললে, “আমি টাকা চাই নে, এই ছবিখানা আমাকে দিতেই হবে, -নইলে নড়ব না এখান থেকে। আমি তো ভাবনায় পড়লুম, কী করি । সাহেব বললে, ‘তা বৈকি, ছবি দিতে পারবে না ওকে। ব’লে দিলেন দুই ধমক লাগিয়ে ; মেম তখন স্বডম্বড় করে নেমে গেল নীচে। এইরকম আর কিছুদিনের মধ্যেই ওঁদের আর্টের তৈলচিত্রের করণ-কৌশলটা তো শিখলাম ; তখন একদিন সাহেব মাস্টার একটা মডেলের কোমর পর্যন্ত অঁাকতে দিলেন। বললেন, ‘এক সিটিঙে দু ঘন্টার মধ্যে ছবিখানা শেষ করতে হবে। দিলুম শেষ করে । সাহেব বললেন, ‘চমৎকার উৎরে গেছে—passed with credit । আমি বললুম, তা তো হল, এখন আমি করব কী? সাহেব বললেন, ‘আমার যা শেখাবার তা আমি তোমায় শিখিয়ে দিয়েছি। এবারে তোমার অ্যানাটমি. স্টাডি করা দরকার।’ এই বলে একটি মড়ার মাথা অঁাকতে দিলেন। সেটা দেখেই আমার মনে হল যেন কী একটা রোগের বীজ আমার দিকে হাওয়ায় ভেসে আসছে। সাহেবকে বললুম, আমার যেন কিরকম মনে হচ্ছে। সাহেব বললেন, ‘No, you must do it—তোমাকে ७ ● रै