পাতা:অবনীন্দ্র রচনাবলী প্রথম খণ্ড.djvu/৩৪৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

চোখের দেখা দেখে আসি— প্রাণের অধিক যারে ভালোবাসি প্রাণের অধিক ভালোবাসে বলেই তো চোখের দেখার এত দরকার 3 е থেমেই তো গিয়েছিল সব। দশ-এগারো বছর ছবি আঁকি নি। আরব্যউপন্যাসের ছবির সেটা অকি হলে ছেলেদের বললুম, এই ধরে দিয়ে গেলুম । আমার জীবনের সব-কিছু অভিজ্ঞতা এতেই পাবে।’ ব্যস, তার পর থেকেই ছবি আঁকা বন্ধ। কী জানি, কেন মন বসত না ছবি আঁকতে। নতুন নতুন যাত্রার পালা লিখতুম ; ছেলেদের নিয়ে যাত্র করতুম, তাদের সাজাতুম, নিজে অধিকারী সাজতুম, ফুটে ঢোল বাজাতুম, স্টেজ সাজাতুম। বেশ দিন যায়। রবিকা বললেন, ‘অবন, তোমার হল কী ? ছবি অণক ছাড়লে কেন ? বললুম, কী জান রবিকা, এখন যা ইচ্ছে করি তাই একে ফেলতে পারি ; সেইজন্যই চিত্রকর্মে আর মন বসে না। নতুন খেলার জন্যে মন ব্যস্ত। এবার আবার এতকাল বাদে ছবি আঁকতে বসলুম। এ যেন নতুন সঙ্গী জুটিয়ে আর একবার পিছিয়ে গিয়ে পুরোনে রাস্ত মাড়ানোর মজা পাওয়া। সবারই একটি করে জন্মতারা থাকে, আমারও আছে। সেই আমার জন্মতারার রশ্মি পৃথিবীর বুকে অন্ধকারে ছায়াপথ বেয়ে নেমে পড়েছে অগাধ জলে। সেই দিন থেকে তার চল শুরু হয়েছে। তার পর একদিন চলতে চলতে, ঝিকৃ ঝিকৃ করতে করতে যখন এসে ঘাটে পৌছল পৃথিবীর মাটিতে স্নান আলো ঠেকল, সেখানে কী হল ? না, সেখানে সেই আলো একটি নাম-রূপ পেলে, সেই আমি । জন্মতারার আলো জীবননদী বেয়ে এসে তীরে ঠেকল। ওই ঘাটের ধারে দাড়িয়ে অবনীন্দ্রনাথ দেখলে—কোথেকে এলুম, এবারে কোথায় চলতে হবে ? ঘাটে এসে ঠেকনুম, এবার চল শুরু করতে হবে। মালবাহী গাধার মতে, উদরের বোঝা পৃষ্ঠের বোঝা সব বোঝা নিয়ে জীবনের মুটে তখন চলেছে পথে অতি ভীত ভাবে—কিছু দেখলেই ভয়ে পিছু হটে, তাকেও, ষে দেখে ভয়ে ছুটে পালায়। ঘাট ছেড়ে বেরিয়ে পড়ল নানা জিনিস সংগ্রহ করতে হাটে, খানিকট খেলার মতে। অনেক দিন ধরে খেলার আয়োজন চলল। ষেন সে একটি צס\ס\