পাতা:অবনীন্দ্র রচনাবলী প্রথম খণ্ড.djvu/৩৫৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

আমাদের বালির স্বর অনেক গল্পের পুস্তকে লেখা আছে—দুইটি বালক একদিন সমুদ্রতীরে বসিয়া বালুকার ঘর গড়িতেছে, ভাঙিতেছে ইত্যাদি । এ কথা মিথ্যা নয়, এ কথা কবিকল্পনা-প্রস্থত নয়, ইহা সত্য। আমার মনে পড়ে কতদিন— ও: সে কতদিনের কথা মনে পড়ে না— বালির ঘর করিয়া খেলা করিতাম । আমাদের বাড়ির কাছে কতক বালি পড়িয়া ছিল । সেই বালি লইয়া আমরা আমাদের চারিধারে বসিয়া বালির ঘর গড়িতাম। সমুদ্রতীর ছিল না, থাকিলে হয়তে সমুদ্রতীরেই বসিয়া গড়িতাম । এই ঘর-গড়া অতি সহজ ব্যাপার। মাটিতে হাত উপুড় করিয়া রাখিয়া হাতের উপর ক্রমাগত বালি চাপড়াইয়া আস্তে আস্তে হাতটি টানিয়া লইতাম এবং হাতটি টানিয়া লইলে ভিতরে একটি গর্ত থাকিয়া যাইত । এই গর্তটি দরজা হইত। এইরূপে আমরা বালির অনেকগুলি ঘর গড়িয়া একটি সংসার পাতিয়া ফেলি। একদিন বৃষ্টির জলে আমাদের সমস্ত বালির ঘর ধুইয়া গেল দেখিয়া আমরা হতাশ হই। তখন আমরা আবার বালির ঘর সাজাইয়া নূতন করিয়া সংসার বাধি। এইরূপ করিয়া আমাদের জীবন কাটিয়া যায়। खांबांtशद्र लिकांब्र আমাদের গোল বাগান আমাদের শিকারেয় প্রধান স্থান ছিল । বাড়ির রেলিংভাঙা লোহা লইয়। আমরা শিকারে বাহির হইতাম । বাগানের নিরীহ ভেকগুলি আমাদের প্রধান শিকার • ছিল । শিকার করিয়া আমরা আমাদের শিকার বাড়ি আনিতাম না— সেইখানেই ফেলিয়া রাধিতাম, কারণ ব্যাঙ ছুইলে গরল হইবে। অনেক দিন পরে যাইয়া দেখিতাম তাহদের চামড়া উঠিয়া গিয়াছে কেবল হাতগুলি পড়িয়া আছে। ইহাতে আমাদের বড়ো আনন্দ হইত। এই শিকারে আমাদের মধ্যে একজন একবার বড়ে আহত হইয়াছিলেন। ইহার, নাম হাব। কাটগাছে একটি টুনটুনি বসিয়া ছিল, ইনি তাহ শিকার করিতে গিয়া এমন হাত কাটিয়াছিলেন যে বাড়িতে যদি ७8२