পাতা:অবনীন্দ্র রচনাবলী প্রথম খণ্ড.djvu/৩৯৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দুঃখের নিধি হল স্মৃতি, হাটে বাজারে সভায় সমিতিতে স্মৃতির পসরা নিয়ে কে না আনাগোনা করে কিন্তু পসরা নামায় না । নীমাতে ইচ্ছা করে কেউ ? নিজের বেদনার ডালায় সাজানো কাটা ফুলের মালা সে তো মার্কেটের ছাট ফুলের মালা নয়। নিজের বেদন দিয়ে গাথা স্মৃতি নিজের যে হতে পারলে তারি জন্য । নীল আকাশ জল-ভরা চোখে কবির দিকে চাইলে । তারি দরদ কবির বুকের কাছে পৌছল। বিরহের বার্তা সে কত দিনের স্মৃতি কত রাত্রের স্মৃতি বহে কবির কাছে নতুন নতুন মেঘদূতের ছন্দ ধরে এল। গাথলেন কবি সেসব কথা, গাইলেন সে কথা, আঁকলেন সে কথা, স্মৃতির স্থত্রে সূত্রে ধরা হয়ে গেল সবই। বইওয়ালা এসে সেগুলো কুড়িয়ে ছাপলে এক দুই তিন বর্ণে কিন্তু এক দরদী-ই সেই রঙ্গে রঙ্গী হতে পারলে, বাকি তারা দরদীর অভিনয় করে চলল। রঙ্গী যেন হয়েছে এই ভাব কিন্তু রঙ আসলে একটু লাগল না তার বাইরে কিংবা ভিতরে । যার সঙ্গে যার ভালোবাসা তার কাছে তার স্মৃতি রাখা হয়ে যায় আপমা হতেই। কোনো রকম সভা কি কিছু হবার অনেক পূর্বে, এটা জানা সত্য । সুতরাং স্মৃতিসভা স্মৃতিরক্ষার পথে খুব ষে একটা প্রয়োজনীয় অনুষ্ঠান তা নয়। সভা ভাবছে স্মৃতি রাখবে পাথর গেথে কিন্তু আমরা সবাই— যারাই কেউ আপনার লোকের স্মৃতি বহন করে চলেছি মনে আমরা জানি কতখানি সহজে পাওয়া অথচ ছমূল্য জিনিস দিয়ে গড় হয় প্রাণের মধ্যেকার স্মৃতিচিহ্ন সমস্ত । মনের মানুষ লাখে এক মেলে, মনের মামুষের স্মৃতি লাখে একজনের কাছে থাকে, এবং সেই স্মৃতি কথার ছলে কবিতার ছলে ছবির ছলে ধরে দেওয়া চলে লাখ লাখ লোকের মধ্যে হয়তে একটি লোককেই ! সাধারণ স্মৃতিসভায় আমাদের অনেকবার আজকাল উপস্থিত হতে হয় কিন্তু এটা তো মন ভোলে না যে সাধারণের সামনে সাধারণ ভাবেই বলা চলে, অনন্যসাধারণ স্মৃতি তাকে ধরে দেওয়া চলে না একেবারেই। ও বছরে দেশের বারে আন লোক যাকে জানে অথচ জানে না এমন এক অভিনেতার বাৎসরিক একটা স্মৃতিসভায় বক্তৃতা দিতে গিয়েছিলেম। সেখানে নিয়মিত ভাবে শোকসংগীত শোক-গাথা সভাপতির অভিভাষণ ইত্যাদি হবার جب3bار