পাতা:অবনীন্দ্র রচনাবলী প্রথম খণ্ড.djvu/৪১৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বাংলা থিয়েটারের এক টুকরো নাচঘর বাংলায় অনেকদিন খোলা হয়েছে, কিন্তু বাংলার নাচঘরের ইতিহাসে স্থানে স্থানে এখনো ভুল দেখা যায়। কেননা ইতিহাস লিখছে প্রায় একালের লোক, সেকালের নাচঘরের সঙ্গে র্যাদের সম্পর্ক ছিল তাদের লেখা ইতিহাস নেই বললেই হয়। - বাংলায় নাচঘরের ইতিহাস পড়ে মনে করি যে নাচঘরটা যাকে বলি stage– বুঝি হঠাৎ ইউরোপ থেকে এদেশের বুকে এসে মন্দার পাহাড়ের মতে ঝুপ করে পড়েছে। এ ধারণা সম্পূর্ণ ভুল। নাচঘরের একটা আদি যুগ আছে, যখন পুজোবাড়ির উঠান থেকে যাত্র বাবুদের বৈঠকখানার নাচঘরে স্থান পেয়ে কতৃকট থিয়েটারি রকম-সকম ধরতে চলেছে। এই সময়ের ইতিহাস একটুখানি নিম্নলিখিত পত্রাংশ থেকে পাওয়া যাচ্ছে। পত্রখানি শ্রদ্ধেয় শ্রীযুক্ত জ্যোতিরিন্দ্রনাথ ঠাকুর সম্প্রতি রাচি থেকে পাঠিয়েছেন— “আবার জোড়াসাকোয় অভিনয়-আদি নির্দোষ আমোদ-প্রমোদ আরম্ভ হয়েছে শুনে খুসি হলুম। আমাদের সেকালের কথা মনে পড়ে। আমাদের পাল ফুরিয়েছে, এখন আমাদের নাতিনতুনীদের পালা। আমাদের জোড়াসাকোর হল-ঘরট ঐতিহাসিক হয়ে দাড়িয়েছে। ওই ঘরে আমাদের তিন পুরুষ অভিনয় করে আসছে। প্রথমে আমাদের কাকারে আমল। তখন মেজে কাকামশায়ের ( গিরীন্দ্রনাথ ঠাকুর ) রচিত ‘বাবুবিলাসের যাত্রা ওই ঘরে হয়। আমার বয়স তখন ৪৫ বৎসর হবে। আমার বেশ মনে পড়ে— হল-ঘরে জাজিম পাত, একটা গদির উপর গির্দ। ঠেসান দিয়ে মেজে কাক বসেছেন, তার সম্মুখে অভিনয় হচ্ছে। ঘরের শেষ প্রাস্তে একটা পর্দা ফেল, তার পরের ঘরটা (দ্বিপুর ঘর) সাজঘর। আমরা ছেলের সব উকি মেরে দেখতুম। “হল-ঘরের প্রথম দরজার সম্মুখে “বাৰু একটা চেকিতে উপবিষ্ট— তার পিছনে ঈশ্বরবাবু (ঈশ্বরচন্দ্র মুখোপাধ্যায়) হরকরার সাজে দাড়িয়ে । দ্বীয় ঘোষাল বাবু সাজত, আর নবীনবাবু (নবীনচন্দ্র মুখোপাধ্যায় ) ফরোয়ান সাজতেন। অনেক সং আসত। একটা সং আমার মনে veebr