পাতা:অবনীন্দ্র রচনাবলী প্রথম খণ্ড.djvu/৪১৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

আছে। অমৃতলালের বাবা রামলাল গাঙ্গুলি পেট ফুলিয়ে মুখে চুন মেখে পিছনে ময়ূরপুচ্ছ লাগিয়ে নৃত্য করছেন। তখন যে গানটা হত তার একটা টুকরো মনে আছে— ‘মুখে তার আঁকা জোখা পিছনে ময়ূরের পাখী । তারপর আমাদের আমল। হা, হেমদার সামনে অভিনয় করতে হবে মনে করে আমার যেন মাথা কাটা যাচ্ছিল, শেষে তোমার অনুরোধে উপরোধে সকলেই আসরে নাবলেন– সে এক অসাধ্য সাধন । এখন আমার নাতিনাতনীরা এই ঘরেই আবার অভিনয় করছে । ইতি—” সেকালে হল-ঘরের পশ্চিম দিকটায় স্টেজ বাধা হয়েছিল, একালে সেদিন আমরা স্টেজট পূর্বদিকে বেঁধেছিলেম— আমরা বলতে একমাত্র আমি, বাকি সব নাতিনাতনীর দল। আমাকে সবাই মিলে ‘অরসিকের স্বর্গপ্রাপ্তি’তে বেরসিকের সং দিতে নামিয়েছিল— ‘মুখে চুণ কালি এবং টেল কোট সেকালের ময়ুরপুচ্ছের প্রায় নিকট-আত্মীয় হয়ে দাড়ালেম, কিন্তু সেকালের সঙ্গে বিষম তফাত ছিল সেদিন দর্শকমণ্ডলীর মধ্যে— আগে কেবল আমার দাদামশাই পুরুষমহলেই যাত্রা দিতেন, আমি ছেলে-মেয়ে পুরুষ-স্ত্রী, সব একসঙ্গে বসিয়ে সং দিয়েছি। এবারে এই পর্যস্ত। Sషి