পাতা:অবনীন্দ্র রচনাবলী প্রথম খণ্ড.djvu/৪২৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মোচড় দিয়েছি—টকৃ করে হাত থেকে লেজ-সমেত ইছরটি লাফিয়ে পড়ল । কোথায় গেল, এ দিকে খুজি। ও দিকে খুজি। বাদশাকে বললুম, আলোট। আন তো, একটু খুজে দেখি কোথায় পালালো। না, সে কোথাও নেই। রাত্রে ভালো ঘুম হল না—ভোর হতে না হতেই উঠে পড়লুম ; ভাবলুম, যদি নীচে বাগানে পড়ে গিয়ে থাকে। দেখি সেখানে যত পোড়া বিড়ি আর দেশলাইয়ের কাঠি ছড়ানো। চাকররা খেয়ে ফেলেছে। কিন্তু আমার ইদুরের আর সন্ধান মিলল না। ও জ্যান্ত হয়ে একেবারে গর্তে ঢুকে বসে মজা দেখছে। কী আর করা যাবে, চলে যাই, এবারে তা হলে আমাদের গল্প শুরু করি গিয়ে ।” কিন্তু ওই অতটুকু তারের লেজের কাঠের ইদুর ওঁকে তিনদিন সমানে বাগানের আনাচে-কানাচে ঘুরিয়েছে। উপরে উঠতে নামতে একবার করে খানিকক্ষণ দোতলার বারান্দার ঠিক নীচের বাগানের খানিকটা জায়গ। ঘুরে ঘুরে খুজতেন ; বলতেন, ‘দাড়া, একবার ঘুরে দেখে যাই, যদি মিলে ষায় ।” এই গল্পটি যখন গুরুদেবকে বললুম, গুরুদেবের সে কী হে। হে করে হাসি—বললেন, ‘অবন চিরকালের পাগল । সে হাসিতে স্নেহ যেন শতধারায় ঝরে পড়ল । গুরুদেব বলতেন, ‘অবনের খেলনাগুলো দু-তিনজন করে না দেখিয়ে একটা পাবলিক একৃজিবিশন করতে বলিস। খুব ভালো হবে। সবাই দেখুক, অনেক কিছু শিখবার আছে। লোকের স্বষ্টিশক্তির ধারা কত প্রকারে প্রবাহিত হয় দেখ, । ছবি অঁাকত, তার পরে এটা থেকে ওটা থেকে এখন খেলনা করতে শুরু করেছে, তবুও থামতে পারছে ন৷— আমার লেখার মতে। না, সত্যিই অবনের স্বজনী শক্তি অদ্ভূত। তৰে ওর চেয়ে আমার একটা জায়গায় শ্রেষ্ঠত বেশি, তা হচ্ছে আমার গান। অবন আর যাই করুক, গান গাইতে পারে না। সেখানে ওকে হার মানতেই হবে। এই বলে হাসতে লাগলেন। গুরুদেব নিজে এই লেখাগুলো বই আকারে বের করবার জন্য ছাপতে দিলেন। তাতে আরো কিছু গল্পের প্রয়োজন হয়। জুলাইয়ের মাঝামাঝি আবার কিছুদিনের জন্য কলকাতায় আসি। আসবার সময় 8 St