পাতা:অভাগীর স্বর্গ - শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়.pdf/২৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

হরিলক্ষ্মী নিরুত্তরে চোখ বুজিয়া শুইল। বলবারই বা আছে কি ? দুইহারা দুর্বলের বিরুদ্ধে অত্যন্ত রূঢ় কথা কঠোর ও কর্কশা করিয়া উচ্চারণ করাকেই একমাত্র স্পষ্টবাদিত বলিয়া জানে। শিবচরণ শান্ত হইল না, বলিতে লাগিল, বিয়েতে যে পাঁচ শ' টাকা ধার নিয়ে গেলি, সুদেআসলে সাত-আট শ’ হয়েছে, তা খেয়াল আছে ? গরীব একাধারে পড়ে আছিস থাক, ইচ্ছে করলে যে কান মলে দূর করে দিতে পারি। দাসীর যোগ্য নয়, - আমার পরিবারের কাছে গুমোর ! হরিলক্ষ্মী পাশ ফিরিয়া শুইল । অসুখের উপরে বিরক্তি ও লজ্জায় তাহার সর্বশরীর যেন বিশ্বম ঝিম করিতে লাগিল । পরদিন দুপুরবেলায় ঘরের মধ্যে মৃদুশব্দে হরিলক্ষ্মী চোখ চাহিয়া দেখিল, বিপিনের স্ত্রী বাহির হইয়া যাইতেছে। ডাকিয়া কহিল, মেজবেী, চলে যাচ্চো যে ? মেজৰীে সলজে ফিরিয়া আসিয়া বলিল, আমি ভেবেছিলাম, আপনি ঘুমিয়ে পড়েছেন । আজ কেমন আছেন দিদি ? হরিলক্ষ্মী কহিল, আজ ঢের ভাল আছি, কৈ তোমার ছেলেকে “অ্যাননি ? মেজবীে বলিল, আজ সে হঠাৎ ঘুমিয়ে পড়ল দিদি। হঠাৎ ঘুমিয়ে পড়ল মানে কি ? আভাস খাবাপ হয়ে যাবে বলে আমি দিনের বেলায় বড় তাকে ঘুমোতে দিইনে দিদি । হরিলক্ষ্মী জিজ্ঞাসা করিল, রোদে রোদে দুরন্তাপনা করে বেড়ায় না ? মেজবৌ কহিল, করে বৈ কি। কিন্তু ঘুমোনোর চেয়ে সে বরঞ্চ 丐引 * তুমি নিজে বুঝি কখনো ঘুমোও না ? মেজবৌ হাসিমুখে ঘাড় নাড়িয়া বলিল, না। হরিলক্ষ্মী ভাবিয়ছিল, মেয়েদের স্বভাবের মত এবার হয়ত সে তাহার অনবকাশের দীর্ঘ তালিকা দিতে বসিবে, কিন্তু সে সেরূপ কিছুই ܠ à