পাতা:অভাগীর স্বর্গ - শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়.pdf/২৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

আসন পাতিয়া দিল ; স্মিতমুখে প্রশ্ন করিল, শরীর নিরাময় হয়েছে দিদি ? DBDB BDBDS DS BDSS SDBDB DB DBD KBS D BuDLLDL পারতাম, অথচ যাবার সময়ে একটিবার খোজও নিলে না। সমস্ত পথটা তোমার জানলার পানে চেয়ে চেয়ে গেলাম, একবার ছায়াটুকুও চোখে পড়ল না। রোগা-বোন চলে যাচ্ছে, একটুখানি মায়াও কি হ’ল না। মেজবোঁ ? এমনি পাষাণ তুমি ! মেজবৌয়ের চোখ ছলছল করিয়া আসিল, কিন্তু সে কোন উত্তরই দিল না । লক্ষ্মী বলিল, আমার আর যা দোষই থাক মেজবেী, তোমার মত কঠিন প্রাণ আমার নয়। ভগবান না করুন, কিন্তু আমন সময়ে আমি তোমাকে না দেখে থাকতে পারতাম না । মেজবীে এ অভিযোগেরও কোন জবাব দিল না, নিরুত্তরে দাড়াইয়া अश्व्नि ! লক্ষ্মী আর কখনও আসে নাই, আজ এই প্রথম এ বাড়িতে প্রবেশ। করিয়াছে। ঘরগুলি ঘুরিয়া ফিরিয়া দেখিয়া বেড়াইতে লাগিল । শতবর্ষের জরাজীর্ণ গৃহ, মাত্র তিনখানি কক্ষ। কোনমতে বাসোপযোগী রহিয়াছে । দরিদ্রের আবাস, আসবাবপত্র নাই বলিলেই চলে, ঘরের চুন-বালি খসিয়াছে, সংস্কার করিবার সামর্থ্য নাই, তথাপি অনাবশ্যক অপরিচ্ছন্নতা এতটুকু কোথাও নাই। স্বল্প বিছানা ঝরঝর করিতেছে, দুই চারিখানি দেবদেবীর ছবি টাঙ্গানো আছে, আর আছে মেজবৌয়ের হাতের নানাবিধ শিল্পকর্ম । অধিকাংশই পশম ও সূতার কাজ, তাহা শিক্ষানবীশের হাতের লাল ঠোঁটওয়ালা সবুজ রঙের টিয়াপাখী অথবা পােচরঙ বেড়ালের মূৰ্তি নয়। মূল্যবান ফ্রেমে আঁটা লাল-নীল-বেগুনিধূসর-পাশুটে নানা বিচিত্র রঙের সমাবেশে পশমেবোনা ওয়েলকাম 'আসুন বসুন অথবা বানান-ভুল গীতার শ্লোকার্থও নয়। লক্ষ্মী সবিস্ময়ে জিজ্ঞাসা করিল, ওটি কার ছবি মেজবেী, যেন চেনা চেনা ঠেকচে ?